দক্ষিণখানে ছুরিকাঘাতে শিশুকে হত্যা

আগের সংবাদ

কেউ ভোলে না, কেউ ভোলে > বাস্তবায়নে এগিয়ে আ.লীগ > কথা রাখেনি বিএনপি > ছায়া সরকার হতে পারেনি জাপা

পরের সংবাদ

সান্তাহার রেলওয়ে জংশন : লেভেলক্রসিংয়ে বাজার ঝুঁকি নিয়ে চলে ট্রেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুনজুরুল ইসলাম মুনজু, আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে : বাংলাদেশ রেলওয়ের (পশ্চিমাঞ্চল) বৃহত্তম জংশন রাজশাহীর আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার। জংশন স্টেশনটি শহরের মাঝখানে হওয়ার কারণে রেলপথ স্থাপনের সময় থেকে রয়েছে লেভেলক্রসিং ব্যবস্থা। এই লেভেলক্রসিং দিয়ে শুধু যান ও যানবাহন চলাচল ছাড়া লেভেলক্রসিং ও অভ্যন্তর এলাকা সার্বক্ষণিক ১৪৪ ধারার আওতাভুক্ত। কিন্তু কেউ মানে না সে আইন।
জানা গেছে, ১৯৮০ সালের শুরুতে লেভেলক্রসিংয়ের দুই ধারে অস্থায়ীভাবে দু-চারজন হকার বসতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা স্থায়ী হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় জায়গা দখলের মহোৎসব। সামান্য সময়ের ব্যবধানে গড়ে ওঠে প্রায় ২০০ অবৈধ দোকানের বাজার। সান্তাহারের বাইরের লোকজনকে প্রশ্নের সুরে বলতে শোনা যায় ‘এটা কি রেলপথের মধ্যে বাজার নাকি বাজারের মধ্যে রেলপথ’। এই অবৈধ বাজার থেকে স্টেশন মাস্টার, রেলওয়ে থানা, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, দলীয় নেতা এবং নানা জনের নামে আদায় করা হয় লাখ টাকার চাঁদা।
এদিকে রেলওয়ের অভ্যন্তরে পিডিবির বিদ্যুৎ ব্যবহার করার আইন না থাকলেও পিডিবি এলাকার দুটি বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে অবৈধভাবে বাজারের ওই সব দোকানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে। পাশাপাশি অবৈধ এই বাজারের ১০/২০ বর্গফুট পরিসরের একেকটি দোকানের পজিশন বেচা-কেনা হয় পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকায়। এই অবৈধ বাজার গড়ে ওঠার সময় চলাচল করত হাতে গোনা কয়েকটি ট্রেন। বর্তমানে ট্রেন সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে অর্ধশত। এ কারণে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে ট্রেন চলাচল। সান্তাহার জংশন স্টেশনে প্রবেশস্থল থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে (উত্তর দিকে) রয়েছে রেলওয়ে লেভেলক্রসিং।
মিটারগেজ, ব্রডগেজ এবং ডুয়েলগেজ সমৃদ্ধ এই লেভেলক্রসিংয়ের অভ্যন্তরে রেললাইনের উপর ও রেললাইন ঘেঁষে রয়েছে নানা পণ্যের প্রায় ২০০ দোকান। পঞ্চগড়, চিলাহাটি ও লালমনিরহাট এবং ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহীর রেল রুটে আপ ও ডাউনে বর্তমানে চলচলকারী ৪৮ ট্রেনের চালকরা লেভেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় পড়েন মহাবিপাকে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সান্তাহার রেলওয়ে লেভেলক্রসিং অভ্যন্তরের বাজার উচ্ছেদ করার জন্য স্টেশন মাস্টার, রেলওয়ে থানা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে চিঠি দেয়। কিন্তু এখনো উচ্ছেদ হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্টেশন মাস্টার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাবিবুর রহমান, রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেন বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়