দক্ষিণখানে ছুরিকাঘাতে শিশুকে হত্যা

আগের সংবাদ

কেউ ভোলে না, কেউ ভোলে > বাস্তবায়নে এগিয়ে আ.লীগ > কথা রাখেনি বিএনপি > ছায়া সরকার হতে পারেনি জাপা

পরের সংবাদ

নিম্নমানের সামগ্রীতে চলছেমডেল মসজিদ নির্মাণ

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২৩ , ১:০৮ পূর্বাহ্ণ

রাজীব দেব রায় রাজু, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে : সরকার সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌর শহরের মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। মাধবপুর মনতলা সড়কের মাধবপুর পৌর শহরের আলাকপুর নামক স্থানে নির্মাণ হচ্ছে এই মডেল মসজিদ। নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসলেও মডেল মসজিদ নির্মাণে কত টাকা বরাদ্দ, কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে, কবে শেষ হবে কাজ এই বিষয়ে জানে না পৌরবাসী। সরকারি কোনো স্থাপনা নির্মাণ শুরু করার আগে কাজের পাশে একটি সাইনবোর্ড লাগানোর নিয়ম থাকলেও নেই কোনো সাইনবোর্ড। অথচ জেলা গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা দাবি করছেন সাইনবোর্ড ছিল। কিন্তু হারিকেন দিয়ে খুঁজেও সেখানে কোনো সাইনবোর্ড পাওয়া যায়নি। ২০১৯ সালে নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমএস মোস্তফা কামাল এন্টারপ্রাইজ প্রথমদিকে খুবই ধীরগতিতে কাজ করলেও এখন দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, মসজিদ নির্মাণকাজে যে রড ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোতে জং ধরা। লাল বর্ণ ধারণ করেছে রডগুলো। যে পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো ময়লা, ইটের মান খুবই নি¤œমানের। দূর থেকে দেখলেই বোঝা যায় ইটগুলো মানহীন। কিন্তু গণপূর্ত বিভাগের চোখেই যেন এসব পড়ে না। মসজিদ নির্মাণকাজে গণপূর্ত বিভাগের একজন কর্মকর্তা এটি তদারকি করার দায়িত্বে থাকলেও তিনি যেন কিছুই দেখেন না। মসজিদের দ্বিতীয় তলায় একটি কলাম বাঁকা হয়ে রয়েছে। সাদা চোখে দেখলেই এটি ধরা পড়ে। যে বালু ব্যবহার করা হচ্ছে সেটির এফএম কত তা-ও বলতে পারেননি দায়িত্বরত সাইট ইঞ্জিনিয়ার। এই নির্মাণকাজে যে ইট, রড, সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো কোন জায়গা থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে এমন প্রশ্নে দায়িত্বরত সাইট ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল ইসলাম জানান সেগুলো তিনি জানেন না। ইঞ্জিনিয়ার ও গণপূর্ত অফিস জানে না। নিয়ম অনুযায়ী যেখানে কাজ হবে সেখানে এক সেট কাগজ করার কথা থাকলেও সেখানে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি সাইট ইঞ্জিনিয়ার।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহা. জাকির হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রড, ইট, পরীক্ষা করেই কাজ করা হচ্ছে। ইঞ্জিনিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাগজপত্র দেখাতে পারেনি কেন এমন প্রশ্নে তিনি জানান, হয়তো সাংবাদিক চিনতে পারেনি। নির্মাণকাজের স্থানে কোনো সাইনবোর্ড নেই এমন প্রশ্নে তিনি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে যান। তিনি দাবি করেন এখানে সাইনবোর্ড ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়