বার্নিকাটের গাড়িতে হামলা : ড. বদিউল আলমের শ্যালক গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এত উদ্বেগ কেন, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

পরের সংবাদ

আসন্ন নির্বাচনে ইসির বরাদ্দ ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা : সরঞ্জাম কেনাকাটায় ৮০ শতাংশ অগ্রগতি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সব মিলিয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। এই ব্যয়ের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ রাখা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়, আর এক তৃতীয়াংশ রাখা হয়েছে নির্বাচন পরিচালনার পেছনে। কেনাকাটার ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশের বেশি অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিবিষয়ক এক বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
অশোক কুমার দেবনাথ জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৩ ধরনের নির্বাচনী উপকরণ কিনতে হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্যালট বাক্স, ব্যালট বাক্সের ঢাকনা ও লক, অমোচনীয় কালী, বিভিন্ন ধরনের সিল, স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ, কাগজ, প্যাড, রশি প্রভৃতি। এ ছাড়া নির্বাচনে ১০ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োজিত করা হবে। দায়িত্ব পালন করবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যরা। নির্বাচনী উপকরণ ক্রয় ও ভোটে দায়িত্বরতদের ভাতা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ধরা হয় নির্বাচন পরিচালনা ব্যয়। আর বাকিটা ধরা হয় আইনশৃঙ্খলা ব্যয়।
ইসির অতিরিক্ত সচিব এ বিষয়ে বলেন, ইউনিট অনুযায়ী ব্যয়টা নির্ধারণ হয়েছে। যেমন পোলিং পারসনের সংখ্যা বেড়ে গেলে সেখানে মোট ব্যয়টা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা আমাদের ব্যয় ধরা আছে। তবে এর বেশির ভাগ টাকা যাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে। ৬৫ শতাংশ ব্যয় ওদের পেছনে যাবে। আর পরিচালনা ব্যয় হবে ৩৫ শতাংশ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যয়টা ডেপ্লয়মেন্টের ওপরে বেড়ে যায়। র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি এবং শেষে যদি আর্মি মোতায়েন করা হয়, সেভাবেই আমাদের ব্যয়টা ধরা হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে এখনই বলা যাবে না, আরো ১০ দিন সময় লাগবে।
তিনি বলেন, আজকের (গতকাল) বৈঠকে নির্বাচনী কেনাকাটাসহ রোড ম্যাপের অগ্রগতির বিষয়টি কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে। আমরা মোটামুটি এখনো অনট্র্যাকে আছি। সব কেনাকাটা চলছে। আমরা স্ট্যাম্প প্যাড নিয়ে পিছিয়ে আছি। তিনবার স্ট্যাম্পপ্যাড কেনার বিষয়টি বাতিল হয়েছে। তবে আজ বিকালে ইসি ফাইলটা পাস করেছে। এখন একটা ওয়ার্ক অর্ডার দিতে পারব। আবার অনেক মালামাল পেয়েও গেছি। হুসিয়ান ব্যাগ, গালা, সিল, ব্যালট বাক্সসহ সবই পেয়েছি। আগের অর্ডারের মধ্যে কেবল অমোচনীয় কালী সাপ্লাই শেষ করতে পারেনি। ব্যালট পেপার নিয়ে অশোক কুমার বলেন, ব্যালট পেপার আমরা বিজি প্রেস থেকে ছাপাবো। একদম প্রতীক বরাদ্দের পর ছাপাতে দেয়া হবে। ভোটের ১০/১৫ দিন আগে ছাপানো হবে।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা বলছেন, এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ব্যবহার হবে না কোনো আসনেই। তাই সামগ্রিক অর্থে ব্যয় বেশ কম হবে।
এদিকে ভোটের আয়োজন এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রশিক্ষণও শুরু করেছে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই)। সেপ্টেম্বরে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে ভোটের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইটিআই মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান। তারা ভোটের এক সপ্তাহ আগে ১০ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবেন। এছাড়া মাঠ প্রশাসনকেও প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে ইটিআই। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিভাগীয় কমিশনারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, আগামী নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফশিল দিতে চায় ইসি। আর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়