দুদকের মামলা : সাবেক বিমানবালা শোভার ৩ বছর কারাদণ্ড

আগের সংবাদ

ঐতিহাসিক সম্পর্কে পরমাণু শক্তির বন্ধন : বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে ইউরেনিয়ামের চালান গ্রহণ করল বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

প্লাস্টিক ধ্বংসে সুপার এনজাইমের সন্ধান

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : মাত্র ১৬ ঘণ্টায় প্লাস্টিকের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ধ্বংস করতে পারে এমন একটি এনজাইমের খোঁজ পেয়েছেন গবেষকেরা। জার্মানির লাইপসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই এনজাইম খুঁজে পান। লাইপশিসের অন্যতম প্রধান এক কবরস্থানের কম্পোস্টের স্তূপে এই এনজাইম খুঁজে পান তারা।
লাইপশিস বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট ক্রিস্টিয়ান জনেনডেকারের দল বিশ্বাস করে, প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানের মূল চাবিকাঠি হতে পারে বায়োটেকনোলজি।
ক্রিস্টিয়ান জনেনডেকার বলেন, প্রকৃতি কীভাবে কাজ করে সেটা আমরা দেখে তা কপি করেছি। প্রকৃতি এনজাইম ব্যবহার করে পলিমার ধ্বংস করে। আমরাও সেটাই করছি।
তিনি বলেন, পাতায় মোমের আবরণের মতো কিছু থাকে। কিউটিন পলিয়েস্টারের কারণে এমনটা মনে হয়। কিউটিন একটি পলিমার, যা এস্টার বন্ধনীর মাধ্যমে তৈরি হয়। পিইটিও তাই। অনেক বায়োপ্লাস্টিকের ক্ষেত্রেও বিষয়টা এমন। এনজাইম বিভিন্ন ধরনের পলিয়েস্টার চিনতে ও ভেঙে ফেলতে পারে। এটি একটি সুবিধা। প্লাস্টিক সমস্যার একটা বায়োলজিক্যাল সমাধান পেয়ে আমরা খুশি। ৬০ থেকে ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় একদিনে পিইটি প্যাকেট পুরো ধ্বংস হয়ে যায়। অবশিষ্ট থাকে শুধু কিছু বিল্ডিং ব্লক। জনেনডেকার বলেন, আমরা এর নাম দিয়েছি পিএইচএল-সেভেন। এর মানে হচ্ছে, পলিয়েস্টার হাইড্রোলেজ লাইপশিস। আর সেভেন দেয়ার কারণ, ৯টি এনজাইমের মধ্যে সাত নম্বরটি সবচেয়ে ভালো কাজ করেছে।
জনেনডেকারের দল এখন পরবর্তী ধাপে কাজ করছে। তারা এনজাইমের ডিএনএ পরিবর্তন করতে চান, যেন এটি আরও দ্রুত প্লাস্টিক খেয়ে ফেলতে পারে। এ জন্য তারা আধুনিক প্রযুক্ত ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তারও সহায়তা নিচ্ছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়