মানবতাবিরোধী অপরাধ : মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খান রোকনুজ্জামান গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

ঝুঁকি প্রবল, প্রস্তুতি কম > বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা > মৃত্যুকূপ হবে রাজধানী > দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা নিয়ে সংশয়

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী মঞ্চ মাতাবেন যারা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : দরজায় কড়া নাড়ছে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আগামী বৃহস্পতিবার পরই ভারতের মাটিতে পর্দা উঠবে চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এ আসর। বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধশালী দেশ ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি জাকজমক না হলে কি হয়! তবে, এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রাখছে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই। আসর শুরুর মাত্র দুই দিন আগেও উদ্বোধনী নিয়ে টু শব্দটিও বের হয়নি বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে। আইসিসির পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি কিছুই। যদিও ভারতের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাতাবেন বলিউডের নামিদামি সব নায়ক, নায়িকা এবং কণ্ঠ শিল্পীরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভারত বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী ম্যাচের ১ দিন আগে অর্থাৎ ৪ সেপ্টেম্বর। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসরের উদ্বোধনী। ম্যাচ ডের সময় নষ্ট না করে নির্বিঘেœ অনুষ্ঠানটি আয়োজনের জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
একটি প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ জানিয়েছে, বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিজেদের কণ্ঠে মাতাবেন শ্রেয়া ঘোষাল, অরিজিৎ সিং, শঙ্কর মহাদেবান, আশা বোসলেসহ আরো নামকরা বেশকিছু মুখ। রনবির সিং, বরুণ ধাওয়ান ও তামান্না ভাটিয়াকে দেখা যাবে নাচের পরিবেশনায়। বিশ্বকাপে অফিসিয়াল থিম সংয়েও দেখা যায় রনবীর সিংকে। নাচে-গানে মঞ্চ মাতাবেন ভারতের এসব বড় তারকারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। যেখানে আতশবাজি এবং লেজার শো’র ব্যবস্থা রেখেছে আয়োজকরা। প্রথম ম্যাচের আগে দুপুরে লেজার শো করা যেতো না। সেক্ষেত্রে অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হবে আয়োজক ভারতের বিভিন্ন ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র?্য। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে। দর্শকদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুখবর। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের টিকেট দিয়ে এই অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবে দর্শকরা। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যেই সেজে উঠেছে আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম।
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ক্যাপ্টনস ডে বলা হচ্ছে। কারণ এদিন হাজির হবেন ১০ দলের অধিনায়ক। অধিনায়কদের প্যারেডের নেতৃত্ব দিবেন বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক জস বার্টলার। উদ্বোধণীতে বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্য এবং প্রস্তুতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন অধিনায়কেরা। আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করবেন প্রাণবন্ত, রোমাঞ্চকর এক টুর্নামেন্টের। পরে অংশ নেবেন অফিসিয়াল ফটোসেশনে। সেই সঙ্গে বোর্ড ফর ক্রিকেট কন্ট্রোল অব ইন্ডিয়া, বিসিসিআই এবং আইসিসির কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে হাজির হবেন।
এবারের আসরে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে বিশ্বকাপের বাকি ৯ দলের বিপক্ষে ৯টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক এই আসরে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় ধর্মশালায় আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামবে সাকিব-লিটনরা। এরপর একে একে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে তারা ৫ অক্টোবর শুরু হয়ে ৪৬ দিনব্যাপী এ মহোৎসবের পর্দা উঠবে ১৯ নভেম্বর ফাইনালের মধ্য দিয়ে।

এদিকে, বিশ্বকাপ উপলক্ষে প্রতিটি দলই জার্সি প্রকাশ করেছে। বিশ্বকাপের নানা আলোচনার বড় এক অংশজুড়ে থাকে জার্সি। একসময়ের সাদা জার্সির পর ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হয় বিশ্বকাপের রঙিন জার্সির ব্যবহার। বাংলাদেশের জার্সি মানে লাল-সবুজ। তবে সবুজের আধিক্য বরাবরই বেশি। টাইগারদের এবারের জার্সিটাও হয়েছে সবুজ। আছে নকশি কাথা, জামদানি আর রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ছাপ। নকশি কাথার ডিজাইনকে প্রাধান্য দিয়ে করা হয়েছে সামনের অংশ। আর ব্যাক পার্টে আছে বাঘের মেরুদ্বণ্ডের ছাপ। ভারত মানেই নীল। যাদের ডাকাই হয় মেন ইন ব্লæ। এবার কিছুটা হালকা নীলে ফিরে গিয়েছে তারা। জার্সির পিছনে রোহিতদের নাম ও জার্সি নম্বর লেখা থাকবে কমলা রঙে। জার্সির সামনে দেশের নামও লেখা থাকবে কমলায়। কাঁধে গেরুয়া, সাদা ও সবুজ রঙের স্ট্রিপ থাকবে। অনেকের মতেই বিশ্বকাপের সবচেয়ে সুন্দর জার্সি এবার পাকিস্তানেরই। বাবর আজমদের জার্সিতে আছে সবুজের বেশকিছু শেড। পরিচিত তারার লোগোকেই সেইসব শেড দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। উন্মোচনের পরপরই বেশ ভালো সাড়া ফেলেছে এই জার্সি। সিংহ আর শ্রীলঙ্কা বরাবরই এক সূত্রে গাঁথা। বিশ্বকাপের জার্সিতেও দেখা গেল সেই প্রতিফলন। নীলের উপর হলুদের প্রাধান্য আছে। জার্সির একপাশে সিংহের মুখ নজর কেড়েছে সবার। অস্ট্রেলিয়া ধরে রেখেছে নিজেদের ঐতিহ্য। বিশ্বকাপের সফলতম দলটি এবারো হাজির হবে হলুদ রঙের জার্সিতে। সঙ্গে অবশ্য কিছুটা সবুজের ভাব থাকছে তাদের জার্সিতে। হাতায় ও দুই পাশে থাকছে গাঢ় সুবজ রং। দেশের নাম ও বিশ্বকাপের লোগোর পাশাপাশি কলারেও থাকছে সবুজ স্ট্রিপ। দক্ষিণ আফ্রিকা হাজির হচ্ছে সবুজ রঙে। আফ্রিকান ঐতিহ্য ধরে রেখে বেশ কিছু রঙের হালকা ছোঁয়া দেখা গিয়েছে তাদের জার্সিতে। হাতের প্রান্তে থাকবে হলুদ স্ট্রিপ। ক্রিকেটারদের নাম ও দেশের নাম লেখা থাকবে হলুদে। বিশ্বকাপের লোগো ও দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের লোগোও থাকবে হলুদে আঁকা। জার্সিতে নীল, কমলা ও কালোর ছোঁয়া থাকছে। ব্ল্যাকক্যাপস নিউজিল্যান্ড। কালো রঙই যাদের বড় পরিচয়। ১৯৯৬ সালের রেট্রো কিটের আদলে করা হয়েছে তাদের এবারের জার্সি। গতবারের ইংল্যান্ডের পর এবার নিউজিল্যান্ডই একমাত্র দল হিসেবে হাজির হচ্ছে পুরাতন ডিজাইন নিয়ে। জার্সিতে কিছুটা হতাশ করেছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। আগেরবার দুর্দান্ত ডিজাইনের তুলনায় এবার ইংলিশদের জার্সি কিছুটা মলিন। নীলের একাধিক শেডের জার্সিতে মাঠে নামবেন জস বাটলাররা। তাতে কিছুটা লালের ছোঁয়াও থাকবে। আফগানিস্তান হাজির হচ্ছে বিশ্বকাপের সবচেয়ে রঙচঙে জার্সি নিয়ে। বাহারি ডিজাইনের এই জার্সি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এরইমাঝে। নেদারল্যান্ডস তাদের চিরায়ত কমলা জার্সি গায়ে মাঠে নামবে। জার্সির সামনে দেশের নাম লেখা থাকছে সাদায়। পিছনে ক্রিকেটারদের নাম ও জার্সি নম্বর থাকছে সাদা রঙে। ক্রিকেট বোর্ডের লোগো ও হাতায় থাকছে নীল রঙের ছোঁয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়