প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাইন অপসারণে সাহায্য করেছিল রুশ সেনারা। সদ্য স্বাধীন দেশে নৌবাহিনী গঠনে ভূমিকা রেখেছিল রুশ নাবিকরা। এসব বিষয়কে উপজীব্য করে আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও রুশ চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ-রাশিয়ার দীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইতিহাস জানা যাবে।
গতকাল সোমবার দুই দিনব্যাপী স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে রুশ চলচ্চিত্র উৎসব ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। আজ মঙ্গলবার এ অনুষ্ঠান শেষ হবে। রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার, রাশিয়ান সোসাইটি ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি। প্রধান বক্তা ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন ফাতিনাজ ফিরোজ, উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউনুছ মিয়া, রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার প্রধান পাভেল আলেকজান্দ্রেভিচ, রডিনার সভাপতি এলেনা ইউরিভনা বাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান চলচ্চিত্র পরিচালক ড. মতিন রহমান প্রমুখ।
আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার সাংস্কৃতিক সম্পর্ক দীর্ঘ ও পুরোনো। সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মানুষ একে অন্যকে জানতে পারে। সে ধারা অব্যাহত রাখতেই এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন। আশা করি দুই দেশের বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় হবে।
অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, রুশ শিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশ নামক দেশটি ওঁতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। স্বাধীনতার সময় যেমন সোভিয়েত সরকার আমাদের নানাভাবে সাহায্য করেছে, তেমনি স্বাধীনতার পর এদেশের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার মাধ্যমে সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা বর্তমান রাশিয়া উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও সমাজতন্ত্রকে বোঝার শক্তিশালী মাধ্যম সিনেমা। রুশ চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। সের্গেই আইজেনস্টাইন, লেভ কুলেশভ, পুদভকিনসহ অন্যান্য রুশ নির্মাতাদের নির্মাণ কীভাবে চলচ্চিত্র ভাষাকে বদলে দিয়েছে। আমাদের দেশেও রাশিয়ান সিনেমা থেকে জানার ও শিক্ষার অনেক কিছু আছে। যারা সিনেমাগুলো দেখবে তারা শুধু উপভোগ করবে না, জানবার আগ্রহ নিয়ে দেখবে। এ চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রও উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি।
ফাতিনাজ ফিরোজ বলেন, দুই দেশের মধ্যে নানা পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সে সম্পর্ক আরো গাঢ় হোক, সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মানুষ একে-অন্যকে আরো বেশি জানুক সে প্রত্যাশা করি।
উল্লেখ্য, রুশ বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘বালাদ অব এ সোলজার’ গতকাল প্রদর্শিত হয়েছে। আজ প্রদর্শিত হবে রুশ চলচ্চিত্র ‘হার্ট অব এ ডগ’ এবং ‘পাইরেটস অব দ্য এক্সএক্স সেঞ্চুরি’।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।