মাত্র সাত দিনের নাটকীয় পরিচয়ে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন ঢালিউড নায়ক শরিফুল রাজ ও চিত্রনায়িকা পরীমণি। এরপর ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি হলুদ অনুষ্ঠানের পর ২২ জানুয়ারি রাতে জমকালো আয়োজনে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। গত বছরের ১০ আগস্ট তাদের ঘর আলো করে আসে ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। তবে সবকিছু শেষ হলো তিক্ততায়। বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন ঢাকাই সিনেমার পরীমণি। গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিনেতা শরিফুল রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠানোর আগে আরো একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। যার ফলই হলো এই বিচ্ছেদের আবেদন। বিষয়টি নিয়ে রাজের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন পরী।
তিনি লিখেছিলেন, ‘ধরেন এই কাজটা আমি যদি করতাম। একজনকে ভাই পরিচয় দিয়ে তার বাসায় যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে মাসের পর মাস পার করে দিতাম- কী বলতেন আমাকে তখন?।’ রাজ ও তার পাতানো বোন মিলে পরীর গায়ে হাত তুলেছে বলে জানান এই অভিনেত্রী। স্ট্যাটাস কিছুক্ষণ পরই মুছে ফেলেন তিনি। সেখানে আরো লিখেন, ‘রাজ কার সঙ্গে থাকে? সুগার মাম্মি নাকি কোনো অনৈতিক ব্যবসায়িক চক্র? কী চলে মহানগর প্রোজেক্টে তাদের ওই বাসা নামক অপকর্মের আস্তানায়?’। বিচ্ছেদের প্রতিক্রিয়ায় রাজ জানান, ‘নোটিস আমি গ্রহণ করে নিয়েছি। আইন অনুযায়ী একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যা হওয়ার হবে। এই সময়ের মধ্যে যা হবে, সেটাই আমি মেনে নেব। পরীর সিদ্ধান্তের সঙ্গে থাকতে চাই। তার সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করছি। আমাদের তো আসলে অনেক দিন ধরেই সমস্যা হচ্ছিল। আজ হোক বা কাল- সম্পর্কটা হয়তো টিকত না। বিয়ের কিছুদিন পরই আমাদের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। আমার মনে হয়, দুজনেরই বোঝাপড়ার বিরাট সমস্যা আছে। থ্যাংকস যে আমরা দুজনই এটা বুঝতে পেরেছি। এখন পরী যে পদক্ষেপটা নিয়েছে, সেটার সঙ্গে আমি আন্তরিকভাবে একাত্মতা পোষণ করছি। আলহামদুলিল্লাহ কবুল বলছি।’
তবে পরীর অভিযোগের ব্যাপারে রাজের বক্তব্য ভিন্ন। তার মতে এসব মিথ্যাচার। এ প্রসঙ্গে রাজ বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আমার সম্পর্কে ভুলভাল কথা বলছে। আমি এমন কিছুই করিনি।’ রাজের কথায় পরী এমন মানুষ নন, বারবার তার সঙ্গে এরকম কিছু হবে আর তিনি মাফ করে দেবেন। অভিনেতার ভাষ্য, ‘পরীমণির সঙ্গে এমন কিছু করিনি যে বারবার আমাকে অনুতপ্ত হতে হবে। তালাকের নোটিসের পর পরী যে এখন এ ধরনের মিথ্যচার করছে, এগুলো ঠিক নয়। এগুলো বাদে সে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি সবই আছে। যেহেতু পরীমণি আমার এক্স ওয়াইফ, আমার সন্তানের মা, তাকে নিয়ে আমি আসলে এর বাইরে কোনো কথা বলতে চাই না। সন্তানের মা বলেই তো কখনোই কোনো কিছু নিয়ে মুখ খুলিনি। আমি আসলে কখনো কিছু বলতে চাইনি বলেই, এটার সুযোগ সবাই সব সময় নিয়েছে। যেহেতু পরী আমার সন্তানের মা, ওকে সেই সম্মান দেয়া উচিত। পরী যেভাবে এখন ভালো থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেভাবেই থাকুক।’ রাজের এমন সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই পরীমণি জানিয়ে দিয়েছেন, এখন থেকে রাজ্যর সব দায়-দায়িত্ব-খরচ মা হিসেবে একাই বহন করবেন তিনি।

:: মেলা প্রতিবেদক