বিনোদন প্রতিবেদক : ঢালিউডের আলোচিত জুটি নায়ক শরীফুল রাজ ও চিত্রনায়িকা পরীমনি। পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘গুনিন’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় থেকে প্রণয় ঘটে এ জুটির। ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর। গত বছরের ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ২১ জানুয়ারি হয় তাদের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। রাজের সঙ্গে সংসার জীবনের ১০ মাসের মাথায় তার কোলজুড়ে আসে সন্তান। এর একদিন পর ছেলের ছবিসহ নাম প্রকাশ করেন নায়িকা। তিনি জানান, রাজের সঙ্গে মিল রেখে ছেলের নাম রেখেছেন ‘শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য’। তবে সংসার আর সুখ তারা এক করতে পারেনি। দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা ঘটনা আলোচনায় এসেছে। গত ২০ মে তো পরীমনির বাসা থেকে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে আসেন রাজ। এরপর ২৯ মে রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সুনেরাহ, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির সঙ্গে বেশ কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি-ভিডিও ফাঁস হয়। সেই ঘটনায় দুজনের মধ্যকার সম্পর্কে আরো দূরত্ব তৈরি হয়। দুজনে গণমাধ্যমে এসেও সম্পর্কের তিক্ততা নিয়ে কথা বলেছেন। সে সময় অনেক সমস্যার পরও রাজের সঙ্গে সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানান পরীমনি। ছেলেকে ঘিরে তাদের পুনরায় একসঙ্গে দেখা যায় তাদের। পরস্পরকে আলিঙ্গনও করেন তারা। সবাইকে চমকে দিয়ে পরীমনি রাজের উদ্দেশে বিচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছেন। জানা গেছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে পরী ডিভোর্স পেপারে সই করে ১৮ সেপ্টেম্বর তা রাজকে পাঠিয়ে দিয়েছেন। রাজের আচরণে অতিষ্ঠ হয়েই তাকে ডিভোর্স দিয়েছেন পরী, এমনটাই গণমাধ্যমে জানিয়েছেন পরীমনির আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান। পরীমনির আইনজীবী আরো বলেন, নারী আসক্তি রয়েছে রাজের। হাতেনাতে ধরাও পড়েছেন তিনি কয়েকবার। এসব আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ডিভোর্স ফাইল করেছেন পরীমনি। মুসলিম আইন অনুযায়ী ৩ মাস পর কার্যকর হয়ে যাবে ডিভোর্স বলে জানান তিনি। তালকনামায় বিচ্ছেদের জন্য চারটি কারণ উল্লেখ করেছেন পরীমনি। প্রথমত, তাদের মতের মিল হচ্ছিল না। দ্বিতীয়ত, কোনো কিছু নিয়েই বনিবনা হচ্ছিল না। তৃতীয়ত, রাজ তার এবং সন্তানের খোঁজখবর নিচ্ছিলেন না এবং চতুর্থত, নায়িকা মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন। সে কারণে ১৮ নং কলাম অনুযায়ী পরীমনি বিবাহ বন্ধন ছিন্ন করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।