সাংবাদিকদের আবাসন সমস্যা সমাধানে সার্বিক সহযোগিতা করব : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

আগের সংবাদ

সাইডলাইন কূটনীতিতে বাজিমাত : সম্মানিত করেছে ভারত, চাপমুক্ত সরকার > পঞ্চবটীতে ভূ-রাজনীতির নতুন সমীকরণ

পরের সংবাদ

ভেশতি!

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

লুঙ্গির ইতিহাস বেশ প্রাচীন। ৮০০ বছর আগে লুঙ্গির সূচনা হয়েছিল ভারতের তামিলনাড়ুতে। ‘ভেশতি’ নামক এক ধরনের পোশাককে লুঙ্গির পূর্বসূরি বলে মনে করা হয়। অবশ্য এই উৎসকথা নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। সময়ের বদলের সঙ্গে সাদা কাপড়ে ফুল এবং অন্যান্য নকশা চিত্রিত হয়ে ভেশতি থেকে একসময় লুঙ্গির সৃষ্টি হয়েছে। এই ভেশতি বা লুঙ্গি তামিলভূমিতে এসেছিল মালয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে। ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুর দিকে লুঙ্গি মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় গমন করে। তারপর ১৬১২ সালে ডাচরা ভারতবর্ষে আগমন করার সময় থেকে বহির্বিশ্বে লুঙ্গি রফতানি করা শুরু হয় এবং পরবর্তী সময়ে এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখে ব্রিটিশরা। অঞ্চল বিশেষে লুঙ্গির অনেক নাম আছে, যেমন ‘সারং, মুন্ডু, হামেইন, সারাম পিনন, মাওয়ালি, কিটেং, কঙ্গা, কাইকি।’ লুঙ্গি একটি আদি পোশাক এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা ও আরব বিশ্বের অনেক অংশে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ব্যবহার করে আসছে। লুঙ্গি বিশেষ অঞ্চলের, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মিসর ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ, নেপাল, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডে পুরুষদের জন্য নিত্যনৈমিত্তিক পোশাক। এসব দেশে বায়ুমণ্ডলের উত্তাপ ও আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে আঁটসাঁট ট্রাউজার ব্যাবহারে অপ্রীতিকর ও অস্বস্তিকর। তাই অনেকেই লুঙ্গি পরিধান করতে পছন্দ করে।
সূত্র: উইকিপিডিয়া

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়