কাগজ প্রতিবেদক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ব্রডকাস্ট জার্নালিজম গণমাধ্যমের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পরই বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘একুশে টিভি’ স¤প্রচারের অনুমতি পায়। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রডকাস্ট জার্নালিজমের প্রসার ঘটে। গণমাধ্যমের বন্ধুরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকলে তিনি আরো সাহসী হবেন, শক্তি পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আপনাদের সাহস ও শক্তি থাকলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত চতুর্থ সম্মেলন ও অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা করেন। তিনি দেশের জন্য অনেক কিছু করে দিয়েছেন। তিনি যা দিয়েছেন যথেষ্ট, এজন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য তিনি কাজ করছেন। এতে চ্যালেঞ্জ আছে, তারপরও চেষ্টার কমতি নেই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন অনলাইনভিত্তিক অনেক ওয়েবপেজ রয়েছে। সরকার এসব বিষয়ে সজাগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে চলেন। অগ্রগতি বুঝেন, তাদের বিষয়ে কাজ করেন। মানুষ এখন অল্প সময়ে বেশি জানতে চায়। সে কারণে ব্রডকাস্ট জার্নালিজমটা গুরুত্বপূর্ণ। নতুনদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কীভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে বিজেসি নেতারা কাজ করছেন। অনেকেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন, ভালো করছেন।
তিনি বলেন, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্টরা কঠিন অবস্থায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ করেন। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চারটি মূলস্তম্ভের মধ্যে অন্যতম একটি। আমরা যারা রাজনীতি করি, তাদের যেমন দায় আছে, তেমনি সাংবাদিকদেরও সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি দায় আছে।
বিজেসির চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক রাজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, জুরি বোর্ড সদস্য মিনহাজ মোসলেম, সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক মানস ঘোষ, সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ প্রমুখ। পরে প্রতিমন্ত্রী বিজেসি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।