সংসদে চুন্নু : সবাই বলে জাপা নাকি গৃহপালিত দল

আগের সংবাদ

অংশীদারত্ব বাড়ানোর প্রত্যয় > যুক্তরাষ্ট্রের চাপেও বাংলাদেশ স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি সমুন্নত রেখেছে : ল্যাভরভ

পরের সংবাদ

পাকিস্তান টালমাটাল থাক বিশ্ব কখনই চায় না

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তান প্রশাসন এখন গভীর গাড্ডায় পড়েছে। বলা ভালো তারা গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি। ১৯৭০-৭১-এর পরে তারা এ রকম অবস্থায় পড়েনি। এবারের কারণ অনেক হলেও মূল কারণ অর্থনৈতিক সংকট। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ) পাকিস্তানকে ঋণ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। পাকিস্তান তাই আমদানি প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে। যার প্রভাব গিয়ে পড়েছে দেশের বাজারে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। পাকিস্তানে মূল্যবৃদ্ধির হার লাফিয়ে বেড়ে হয়েছে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। ১৯৭৪ সালের পর থেকে যা সর্বোচ্চ। এদিকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) দলের নেতা শাহবাজ শরিফ পদত্যাগ করেছেন। তিনি ও বিরোধীদলীয় নেতা রাজা রিয়াজ যৌথভাবে অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা ঘোষণা করেছেন। এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তোশাখানা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইমরান সবচেয়ে জনপ্রিয় হলেও পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। পাকিস্তানকে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ভেঙে দেয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। সব মিলে পাকিস্তানে এখন যা চলছে তাকে মাৎস্যন্যায় বলাই শ্রেয়।
পাকিস্তান প্রশাসনিকভাবে ৪টি প্রদেশ, ১টি কেন্দ্রীয় রাজধানী এলাকা, ২টি স্বশাসিত ও বিতর্কিত এলাকা দ্বারা গঠিত। বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া, পাঞ্জাব ও সিন্ধু হলো চার প্রদেশ। ইসলামাবাদ রাজধানী এলাকা। অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মির ও গিলগিট-বালতিস্তান স্বশাসিত ও বিতর্কিত এলাকা। মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও জলের অভাব, জ্বালানি গ্যাসের অভাবের পাশাপাশি সেনাসদস্য ও রাজনীতিবিদদের রাজসিক জীবন পাকিস্তানের সব প্রদেশের আম-নাগরিকদের ভয়ংকর বিক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। কয়েক দিন ধরে এই অঞ্চলে পাকবিরোধী তুমুল বিক্ষোভ চলছে। গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে পাক সেনা কর্মী-আধিকারিকদের ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। অভিযোগ, এলাকায় ক্যাম্প তৈরি করতে চাচ্ছে পাক রেঞ্জার্স। তার বিরুদ্ধেই এদিন সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে। প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন নেটিজেনরা। জারা নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়েছে, এটা কাশ্মির বা ফিলিস্তিন নয়। পাকিস্তানের সেনা জোর করে গিলগিট-বালতিস্তানের জমি দখল করছে। এরপরের ঝামেলা হয় ১৪ আগস্টের প্রাক্কালে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরে। ভারতের কাশ্মির ও জম্মু থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেয়ার পরে ভারতের এই অংশে পর্যটন থেকে প্রায় সব ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। উন্নয়ন হচ্ছে দ্রুতগতিতে। জম্মু-কাশ্মিরের সাধারণ নাগরিকরা এখন শান্তির জীবনে ফিরে গেছেন। তাদের অগ্রগতির সংবাদ আছড়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এদিকে পাকিস্তানের স্বাধীনতার প্রাক্কালে সেনাবাহিনী অধিকৃত কাশ্মিরের নেতাদের বলেছিল যে পাকিস্তানি পতাকা তুলতে, আজাদ কাশ্মিরের পতাকা নয়। নেতারা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাদের গ্রেপ্তার করতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পাক অধিকৃত কাশ্মিরের সাধারণ মানুষ। সূত্রে প্রকাশ যে, সেদিন তারা কালো পতাকা তুলেছেন। ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে ‘বিশেষ দিন’ ঘোষণা করেছে এবং সেøাগান তুলেছে- আমরা ভারতের সঙ্গে মিশে যেতে চাই। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চূড়ান্ত অস্বস্তির মুখে দাঁড় করিয়েছে পাক প্রশাসনকে।
ইতোমধ্যে পাকিস্তানকে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছে চীন। তারা ১ বিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য করেছে পাকিস্তানকে এবং অবশ্যই তা শর্তসাপেক্ষ। চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) তৈরি করছে বেইজিং। চীনের কাশগড় থেকে পাক-অধিকৃত কাশ্মির হয়ে ইসলামাবাদ, লাহোর পেরিয়ে আরব সাগরের তীরে গদর পর্যন্ত বিস্তৃত এই করিডোর। বালুচিস্তানের গদর বন্দর সিপিইসির গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। এই বন্দরকে ঘিরে অনেক উন্নয়ন এবং বাণিজ্যিক লাভের অঙ্ক কষেছে চীন। তাই চীনের অনেক মানুষ এসে বাস করছেন। এদিকে এখানেই ধাক্কা খাচ্ছে চীন। বালুচিস্তানের মানুষের সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এ অঞ্চলের মানুষ পাক সরকারকে স্বীকার করে না। বরং তাদের দাবি, জোর করে তাদের পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বালুচিস্তানের দাবি, পাকিস্তানের জন্মের পর ১৯৪৮ সালের ২৭ মার্চ অন্যায়ভাবে বালুচিস্তান দখল করেছে পাক সেনা। তার আগে এটি একটি স্বাধীন প্রদেশ ছিল। বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় প্রদেশ বালুচিস্তান। এটি নানা সম্পদের খনি। বালুচিস্তানের মাটিতে লুকিয়ে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সাফল্যের বীজ। এই বালুচিস্তানেই পাক সরকারের কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয় না। শুধু সম্পদ ব্যবহার করে কার্যসিদ্ধি করে পাক সরকার। স্বাধীন হওয়ার দাবিতে বালুচিস্তানে গড়ে উঠেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এটি একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী, যার প্রধান এবং একমাত্র দাবি, পাকিস্তানের বশ্যতা ছিন্ন করে বেরিয়ে যাওয়া। পাক সরকার এবং সেনা তাদের প্রধান শত্রæ। আর চীন সেই পাক সেনার সঙ্গেই হাত মিলিয়েছে। ফলে চীনকে বালুচিস্তান থেকে তাড়িয়ে দিতে কোমর বেঁধে নেমেছে বিএলএ। নানা প্রকল্পের কাজের সূত্রে বহু চীনা নাগরিক এই দেশে আসেন। নানা পেশার সঙ্গে তারা যুক্তও হয়ে থাকেন। এই চীনাদের ওপর মুহুর্মুহু হামলা হচ্ছে বালুচিস্তানে। কখনো চীনা প্রযুক্তিবিদদের গাড়ি আত্মঘাতী বোমা হামলায় উড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, কখনো করাচিতে চীনা শিক্ষক, শিক্ষিকাকে গুলি করে খুন করা হচ্ছে। এই বিএলএর তরফে চীনকে চূড়ান্ত সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে, ৯০ দিনের মধ্যে চীনা নাগরিকরা বালুচিস্তান না ছাড়লে চীনের কাউকে ছাড়বে না তারা। শুরু হবে লাগাতার হামলা। বিএলএর সতর্কবার্তা মেলার পর করাচিতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস তার তীব্র বিরোধিতা করেছে। হামলাকারীদের কঠোরভাবে দমন করার কথা বলেছে বেইজিং। চীনা নাগরিকদের উদ্দেশে চীনা দূতাবাস থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে।
বালুচিস্তানের বিদ্রোহের শিকড় কিন্তু সুদূর অতীতে। গোটা ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসক যখন জাঁকিয়ে বসেছে, বালুচ অঞ্চল তখনো নিজেদের মতো করে স্বাধীন। ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে বালুচরা প্রথম নতি স্বীকার করল অনেক পরে। ১৮৭৬ সালে তারা ব্রিটিশ রাজত্বের বশ্যতা স্বীকার করে। বালুচিস্তানের শাসক বা খানের সঙ্গে ১৯৪৮ সালে পাক সরকারে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে স্বাধীন বালুচ অঞ্চলটিকে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার বা স্বশাসন দেয়ার কথা হয়েছিল। মহম্মদ আলি জিন্নাহ নিজে সে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। অর্থনীতি, বিদেশনীতি এবং প্রতিরক্ষা- শুধু এই তিনটি বিষয় ইসলামাবাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে চুক্তি হয়েছিল। বাকি সব কিছুই বালুচদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে স্থির হয়েছিল। কিন্তু জিন্নাহ কথা রাখেননি। পাকিস্তান পরবর্তীকালে সে চুক্তির শর্ত আর মানেনি। বালুচ মুলুকের সঙ্গে আরো নানা অঞ্চলকে যুক্ত করে, বালুচিস্তান নামে একটি অখণ্ড প্রদেশ গঠন করে তাকে পাকিস্তানের অন্য প্রদেশগুলোর সঙ্গে একই আসনে বসিয়ে দেয়া হয়। ১৯৪৮ সালেই প্রথমবার চরমে পৌঁছেছিল ক্ষোভ। শুরু হয়েছিল বিদ্রোহ। তারপর ১৯৫৮ থেকে ১৯৫৯, ১৯৬২ থেকে ১৯৬৩ এবং ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত বারবার পাকসেনার বিরুদ্ধে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী লড়াই করেছেন বালুচ বিদ্রোহীরা। বারবারই নির্মম দমননীতি চালিয়ে, বলপ্রয়োগ করে, বহু প্রাণ কেড়ে নিয়ে বিদ্রোহ দমিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ২০০৩ সাল থেকে ফের আত্মনিয়ন্ত্রণের লড়াই শুরু করে বালুচরা। পাকিস্তানের সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মুশারফ বালুচ বিদ্রোহ সম্পূর্ণ শেষ করে দেয়ার পরিকল্পনা নেন। বালুচদের নেতা নবাব আকবর বুগটিকে ২০০৬ সালে একটি পাহাড়ের গুহার মধ্যে ঢুকে খুন করে পাক সেনা। আর এই বুগটির হত্যার পর থেকে আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবি বদলে গিয়েছে সম্পূর্ণ স্বাধীনতার সংগ্রামে। স্বাধীনতার লড়াইকে ছোট করে দেখাতে এখন তাই ভারতকে দোষারোপের পথ বেছে নিয়েছে পাকিস্তান। বালুচিস্তানের অস্থিরতা আসলে ভারতের তৈরি করা, এই বলেই আপাতত মুখ বাঁচাতে চাইছেন।
এদিকে চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের পর পাকিস্তানের শিক্ষিত মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছেন সেনানায়ক ও রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে। দুই দেশের তুলনা করে তুমুল চর্চা চলছে পাকিস্তানে। বলা হচ্ছে যে চন্দ্রযান বাদ দেয়া হলেও টমেটোর দাম ভারত নেপাল থেকে আমদানি করে ৩০০ থেকে বর্তমানে ৪০ টাকায় নামাতে পারে, তাহলে আমরা পারি না কেন? ভারত যদি আগামী এক বছরের খাদ্যশস্য মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য বিদেশে চাল রপ্তানি বন্ধ করতে পারে, তাহলে আমরা পারি না কেন? তুলনা হচ্ছে বিভিন্ন খাতে ভারতের ব্যয় বনাম পাকিস্তানের ব্যয়ের। প্রতি কিলোমিটার রাস্তা তৈরিতে কোন দেশের কী খরচ, তারও তুলনা হচ্ছে। তুলনা হচ্ছে তাদের দেশের নায়কদের বিদেশে টাকা পাচারের বনাম ভারতের বৈদেশিক দপ্তরের পাচার হয়ে যাওয়া টাকার ৮৫ শতাংশ ইতোমধ্যে উদ্ধারের। এই তুলনায় ভারতীয়রা আনন্দ পেলেও প্রমাদ গুনছেন ভারত সরকার। পাকিস্তানের এই সংকটে ভারতের চিন্তার কারণ কী? পাকিস্তানের প্রশাসন টালমাটাল হলে সেখানে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেতে পারে। অর্থনীতির কারণে পাকিস্তানে অরাজকতা দেখা দিলে তা সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়ে যাবে। ভারতের ওপর সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা থাকবে। পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংকটের জেরে সেখান থেকে অনেকে ভারতে এসে আশ্রয় নিতে পারেন। এতে ভারতে উদ্বাস্তু সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাকিস্তানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। দেশের শাসনব্যবস্থা বিপর্যস্ত হলে এই পরমাণু অস্ত্রের মুখে শুধু ভারত নয়, পড়তে হতে পারে সারা বিশ্বকেই। পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়া সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো পরমাণু অস্ত্রকে হাতিয়ার করে বিশ্বব্যাপী ধ্বংসলীলায় মেতে উঠতে পারে। পাক সেনা বিপুল ধনসম্পদের মালিক। দেশে সরকার পড়ে গেলে সেনাশাসন জারি হতে পারে। তা-ও ভারতের জন্য সুখের কথা নয়। সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা না ভেবে পাক সেনা পরমাণু অস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র অন্য দেশ এবং সংগঠনের কাছে মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে পারে। সারা বিশ্বের নিরাপত্তা তখন প্রশ্নের মুখে পড়বে। পাকিস্তানের অর্থনীতি পুরোপুরি ভেঙে পড়লে সে দেশের সঙ্গে ভারতের লেনদেন, বাণিজ্য ব্যাহত হবে। ভারত থেকে যে দ্রব্য পাকিস্তানে রপ্তানি করা হয়, তা থমকে যাবে। এতেও পরোক্ষে ভারতের ক্ষতি। সেজন্য ভারত তীব্রভাবে চাইছে এই সংকট থেকে বেরিয়ে আসুক পাকিস্তান। পাকিস্তান টালমাটাল থাক ভারত বা বিশ্বের কোনো দেশ কখনই চায় না।

অমিত গোস্বামী : কবি ও লেখক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়