মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ৫৬

আগের সংবাদ

ছাত্রলীগে এত আগাছা কেন : যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় তিন শতাধিক পদধারী বহিষ্কার

পরের সংবাদ

অর্থ উপার্জনের মোহে দেশের মানুষ আর কত সর্বস্বান্ত হবেন?

প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন অ্যাপ এমটিএফইর মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনেকে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। টাকা খুইয়েছেন। তবে প্রতারিতদের কেউ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেননি। প্রতারণার শিকার হওয়াদের দলে আছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি। তার মতো টাকা খুইয়েছেন অনেকেই। কিন্তু লজ্জায় মুখ খুলছেন না। তিনি এই অ্যাপের সন্ধান পান এক ব্যক্তির কাছে। তিনি অ্যাপের মাধ্যমে এক লাখ টাকা জমা দেন। দুই সপ্তাহে লাভ দেখানো হয় ১৩০ ডলার। এরপর তা বেড়ে দাঁড়ায় ২০০ ডলারে। কিন্তু অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে লাভ আর উঠাতে পারেননি। বিনিয়োগ করা টাকাও খোয়া গেছে। এরকমভাবে, আরেকজন এমটিএফই অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ৭ লাখ টাকা খুইয়েছেন। প্রথমে কম টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। কিছুদিন লাভ পেয়ে ৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এর মধ্যে অ্যাপটি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু তার আগেই ডলার উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। তার মতো চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরো অনেকেই প্রতারিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বহুস্তর বিপণন বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) গ্রুপ ইনকরপোরেটেড বাংলাদেশে রীতিমতো প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। ব্যবহার করেছে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা। কিন্তু প্রতারণার ঘটনার পর এখন সরকারি সংস্থাগুলোর কেউই দায় নিতে রাজি নয়। মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম ব্যবসার জন্য বাংলাদেশে আইন আছে। তবে অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। তারপরও এমটিএফই এ ধরনের ব্যবসা করে কীভাবে অর্থ হাতিয়ে নিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)। এ বিষয়ে বিটিআরসির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশে এমএলএম ও ই-কমার্সের নামে প্রতারণার বড় বড় ঘটনা রয়েছে। ২০০৬ সালে যুব কর্মসংস্থান সোসাইটির (যুবক) অনিয়মের বিষয়টি উঠে আসে। ডেসটিনিতেও টাকা রেখে কেউ ফেরত পাননি। এ ঘটনা জেনেও ইউনিপেটুইউ নামক প্রতিষ্ঠানের একই ধরনের জালে আটকা পড়েন বিপুলসংখ্যক মানুষ। প্রতারণার ঘটনাগুলো নিয়ে সরকার বহুবার তদন্ত করেছে, কমিশন গঠন করেছে, টাকা ফেরতের পথও দেখিয়েছে। মামলাও হয়েছে অনেক। কিন্তু মানুষ টাকা ফেরত পাননি। মাঝখানে ৬-৭ বছর এ ধরনের ‘ব্যবসায়ের’ প্রসার ছিল না। ২০১৮ সালে শুরু হয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের নামে এমএলএম ব্যবসা। শুরুতে আসে ইভ্যালি। পরে একে একে আসে ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, কিউকমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এগুলোর মালিকপক্ষের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলমান। কিছু ই-কমার্স গ্রাহক টাকা ফেরত পেয়েছেন, তবে বেশিরভাগই প্রতারিত হয়ে পথে পথে ঘুরছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রতারিত গ্রাহকের হিসাব অনুযায়ী এমএলএম প্রতিষ্ঠান ও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে মানুষের প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা আটকা। এসব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এমটিএফই নিয়ে তারা কিছু বলতে পারবে না। তবে ডেসটিনি ও যুবকের গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেয়ার একটা চেষ্টা আছে। ইভ্যালি বা আরো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের যেসব গ্রাহক ২০২১ সালের ৩০ জুনের আগে টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন, তাদের ব্যাপারে কিছু করার বাস্তবতা কম। কিছু মানুষের লোভের ফাঁদে পড়া দেখে খারাপই লাগে। কষ্টের টাকা তারা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় বিনিয়োগ না করলেই পারেন। অবশ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মানুষের সামনে যাতে লোভের ফাঁদ কেউ পাততে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতেই সংস্থা তৈরি করা হয়। এমটিএফইর ‘প্রতারণার’ ধরনটি ভিন্ন, তবে কৌশল ডেসটিনির মতোই। ডেসটিনি যেভাবে গ্রাহকের মাধ্যমে গ্রাহক সংগ্রহ করত, তেমনি এমটিএফইও ‘বিনিয়োগকারী’ সংগ্রহ করেছে। দেশে টাকা খোয়ানো ব্যক্তিরা বলছেন, এমটিএফই অনলাইন বা ভার্চুয়াল দুনিয়ায় শেয়ার, ডলার, ক্রিপ্টোকারেন্সি (ভার্চুয়াল মুদ্রা, যেমন বিটকয়েন) কেনাবেচার কানাডা ও দুবাইভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বলে দাবি করত। তারা বিনিয়োগের বিপরীতে বড় লভ্যাংশের লোভ দেখাত। কেউ আগ্রহী হলে টাকা দিতে হতো ব্যাংক অথবা মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (এমএফএস) মাধ্যমে। বিপরীতে তারা পেতেন ভার্চুয়াল মুদ্রা। মুঠোফোনের অ্যাপে লভ্যাংশ জমা হতো। কিছুদিন সেই লভ্যাংশ তোলা গেছে। সম্প্রতি অ্যাপটিতে গ্রাহকের হিসাবগুলো বন্ধ হয়ে যায়। মানুষ বুঝতে পারে, তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশে এমটিএফইর কোনো কার্যালয় নেই, নেই কোম্পানির কোনো চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) নাম-ঠিকানা। মুঠোফোনেই সব কাজ হতো। বিনিয়োগকারী সংগ্রহ করতে এমটিএফই কান্ট্রি অপারেশন সার্ভিস (সিওও) পদমর্যাদায় প্রতিনিধি নিয়োগ করত। দেশের বিভিন্ন জেলায় এ রকম শত শত সিওও বানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। কত মানুষের টাকা খোয়া গেছে, তার হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন জেলায় হাজার হাজার মানুষ কোটি কোটি টাকা হারানোর দাবি করছেন। দীর্ঘ সময় ধরে এ কার্যক্রম চললেও সরকারের কোনো দপ্তরের কাছে তা ধরা পড়েনি। এমটিএফই নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, তারা এমটিএফইর প্রতারণার বিষয়টি পত্রিকায় দেখেছেন। বৈধ চ্যানেল ব্যবহার করে অবৈধ ব্যবসা হয়েছে। কেউ তার টাকা কোথায় ব্যবহার করবেন, তা তারই অধিকার। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারে না।
বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা এবং ক্রিপ্টো কারেন্সিতে লেনদেন অবৈধ ও নিষিদ্ধ। এরপরও কমপক্ষে ৫০০ ডলার বিনিয়োগ করলে দিন শেষে ৫ হাজার টাকা লাভ হবে এমন চটকদার প্রলোভনে গ্রাহকরা বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। অনেকে গহনা ও মূল্যবান সামগ্রী বন্ধক রেখেও বিনিয়োগ করেছিলেন। আর্থিক অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমএলএমের মাধ্যমে ডেসটিনি-ইউনিপেসহ আরো অনেকেই প্রতারণা করেছে। তবে সে সময় ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা না থাকায় সরাসরি গিয়ে টাকা জমা দিতে হতো। এক জেলা থেকে অন্য জেলা বা এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে এ ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে বেশ সময়ের ব্যাপার ছিল। কিন্তু ডিজিটাল পেমেন্টের যুগে টাকা বহন করে নেয়া বা অতিরিক্ত সময় কোনোটিরই প্রয়োজন হচ্ছে না। এ সুযোগই এমটিএফইর অর্থ আত্মসাতের পথ ত্বরান্বিত করেছে। পাশাপাশি এ ধরনের আর্থিক অপরাধের ক্ষেত্রে আগাম শনাক্তকরণ ব্যবস্থা গড়ে না ওঠাকেও এ ধরনের অপরাধ বিস্তারের কারণ হিসেবে মনে করছেন তারা। এমটিএফইর মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার হয়েছে বলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিরও সন্দেহ। এমটিএফই দেশে যে ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সেটি পুরোপুরিই অবৈধ। এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা আত্মসাতের অর্থ পাচার করে থাকতে পারে। এরই মধ্যে গ্রাহকরা দাবি করেছেন, ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে কাজ শুরু করেছে সিআইডি। এমটিএফই মূলত বাইন্যান্স ব্যবহার করে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক নামে কোনো লেনদেন ছিল না। এ ধরনের এমএলএম বা বেটিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী সাইটগুলো নিয়মিত তালিকা করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে দেয়া হচ্ছে। বিটিআরসির সহযোগিতায় এরই মধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। এরপরও সাধারণ মানুষ লোভে পড়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে ইউনিপেটুইউ ১০ মাসে দ্বিগুণ লাভের লোভ দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়া শুরু করে। আমানতকারীরা জানিয়েছেন, ইউনিপেটুইউতে বিনিয়োগকারীরা ৬ হাজার কোটি টাকা জমা রেখেছিলেন। কেউ টাকা ফেরত পাননি। ২০১৮ সালে বিপুল ছাড়ে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির কথা বলে ই-কমার্স ব্যবসায় নামে ইভ্যালি। এরপর ই-অরেঞ্জ, আলেশা মার্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একই কায়দায় মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয়া শুরু করে। ইভ্যালি সরকারি প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক হয়েছিল। সরকারের দায়িত্বশীলরা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রশংসা করেছিলেন। যেমন ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-ক্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পদক পায় ইভ্যালি। অনুষ্ঠানে ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। তিনি বলেছিলেন, ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠান একসময় বাংলাদেশের আলিবাবা, আমাজন হবে। কিন্তু পরে দেখা যায়, এসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছে, অর্থ পাচার করেছে। এখন ইভ্যালির কাছে ১ হাজার কোটি টাকা, ই-অরেঞ্জের কাছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা এবং ধামাকার কাছে ৮০৮ কোটি টাকা পাওনা গ্রাহকের। আরো কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা আটকে আছে মানুষের। এমটিএফইর মতো অন্তত এক হাজার প্রতিষ্ঠান সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। অথচ সরকার বিষয়টাকে হালকাভাবে নিয়েছে। প্রথমে যুবক, ডেসটিনির মতো এমএলএম; পরে ইভ্যালির মতো ই-কমার্স এবং এখন এমটিএফইর মতো ক্রিপটোকারেন্সির (ভার্চুয়াল মুদ্রা) মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের মোহে পড়েছেন যুবকরা। কেন এমন হচ্ছে, এ ব্যাপারে গবেষণা হওয়া দরকার। আপাতত সরকারের পক্ষে এসব বিনিয়োগ রোধে ব্যাপক প্রচারণা চালানার বিকল্প নেই; কিন্তু সরকার তা করছে না। প্রতারণার যে ঘটনাগুলোর ঘটছে, তা কেউ লুকিয়ে করছে না। ঘটা করে প্রচারের মাধ্যমে প্রতারকরা সংগঠিত হয়, গ্রাহক জোগাড় করে। সেই প্রচারের কথা সবার কানে পৌঁছায়, শুধু কর্তৃপক্ষের কানে পৌঁছায় না। এটা মেনে নিতে পারি না। বাংলাদেশের মতো অত্যন্ত ঘনবসিতপূর্ণ দেশে সরকার বা কর্তৃপক্ষের অজান্তে কোনো মানুষের পক্ষে ব্যবসায়িক ‘নেটওয়ার্ক’ পরিচালনা করা অসম্ভব। যেসব প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো বিস্তারের শুরু থেকে দায়িত্বশীলরা জানতেন। শুধু অবহেলা করে জনস্বার্থের দিকে নজর না দিয়ে ব্যবসা চলতে দেয়া হয়েছে। যখন মানুষ সর্বস্বান্ত হয়, তখন সরকার বলে লিখিতভাবে জানায়, ব্যবস্থা নেব। এগুলো দায়সারা কথা। নিজের দায়ভার এড়ানোর কথা। চলচাতুরি ছাড়া আর কিছু নয়। এটাকে কখনো সুশাসনের পর্যায়ে ফেলতে পারি না। শাসনব্যবস্থার করুণ চিত্র এটা। যে কোনো ডিজিটাল প্রতারণা ও অনিয়ম সবার আগে নজরে আসে পুলিশের। তাদের সঙ্গে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক যারা, তারা এটা নজরদারি করবেন। তাদের দায়িত্ব পালনে ঘাটতি আছে। জনগণকে অহেতুক দোষ দিয়ে লাভ নেই। মানুষের টাকার প্রতি লোভ বাংলাদেশে যেমন আছে, অন্য দেশেও আছে। অতীতেও মানুষের টাকার প্রতি লোভ ছিল। এখনো আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। এই লোভে পড়ে মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটি দেখার দায়িত্ব সরকারের। আইনের মাধ্যমে জনগণকে সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। সমস্যাটা জবাবদিহির অভাব। কাউকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। আর্থিক খাতের যে দুরবস্থা, করুণ চিত্র এ জন্য কি কাউকে দায়ী করা হয়েছে? কারো চাকরি গেছে? কাউকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে? জাতীয় পর্যায়ে সুশাসনের অভাবের খণ্ডিত চিত্র এই প্রতারণার ঘটনা।

রেজাউল করিম খোকন : সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও কলাম লেখক।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়