অর্ধকোটি টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার ৪

আগের সংবাদ

বহুমুখী বিশ্বের বাতিঘর ব্রিকস : ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডারস ডায়ালগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পরের সংবাদ

বিএনপি কোন পথে হাঁটছে?

প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী চক্র অবৈধ অস্ত্রের মজুত ও নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে গোয়েন্দার বরাত দিয়ে ভোরের কাগজ গতকাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এটি আশঙ্কার বিষয়। আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। তারা সন্ত্রাস করবে, সন্ত্রাস করে নির্বাচন পণ্ড করবে, নির্বাচন ভণ্ডুল করবে- এ লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার আমলে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে বলে আওয়ামী লীগ বারবার বলে আসছে। এ নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি নানা পরিকল্পনা করছে। ভোরের কাগজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩টি অস্ত্রসহ ৬ ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তারের পর অপরাধ জগতের নতুন চিত্র বেরিয়ে এসেছে। এদের মধ্যে দুজন অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। গত দুই মাসে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ছাত্রদলের ক্যাডারদের হাতে এসেছে ১১টি অবৈধ অস্ত্র। এর মধ্যে রয়েছে পিস্তল ও রিভলবার। এই গ্রুপকে ভোটের তফসিল ঘোষণার আগে ২০টি অস্ত্র আনতে টার্গেট দেয়া হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় একটি পর্যায় থেকে। ১১টি সংগ্রহের পরই তারা ধরা পড়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো ধরনের নৈরাজ্য, খুনাখুনির সংস্কৃতি আমরা আর দেখতে চাই না। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কাম্য। দেশে রাজনৈতিক সংকটের মূলে আছে নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে আস্থাহীনতা। সেটা জাতীয় নির্বাচনই হোক আর স্থানীয় নির্বাচন। নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে কিংবা কার অধীনে হবে- এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে না। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন প্রত্যাশা করে সাধারণ মানুষ। নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে আন্দোলন এমনকি সংঘাতেও রূপ নেয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মাঠে রয়েছে। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে। অন্যদিকে বিএনপিকে প্রতিহত করে ঢাকার রাজপথে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া ক্ষমতাসীনরা। তারাও সক্রিয় রয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভরাডুবি, ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর রাজনৈতিকভাবে চরম বেকায়দায় পড়ে বিএনপি। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মরিয়া হয়ে উঠছে দলটি। সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে- এমন সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও নড়বে না ক্ষমতাসীনরা। অন্যদিকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। সরকারের পদত্যাগে এক দফা ঘোষণা করেছে দলটি। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ছোট-বড় রাজনৈতিক দলগুলো সভা করবে, কর্মসূচি দেবে- এটাই স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক চর্চা। জমে উঠবে কথামালার রাজনীতি। কিন্তু এ সময়ে উল্টোচিত্র দেখতে হয় আমাদের। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসে, রাজনৈতিক উত্তেজনা ততই বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল কার্যত বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে। এমনকি সংঘাতে গড়ায়। দেশে রাজনৈতিক সভায় গ্রেনেড হামলার দৃষ্টান্তও রয়েছে। আমরা চাই না আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হোক। আমরা মনে করি, সংঘাত পরিহার ও শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে সরকার, প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলকেই সহিষ্ণুতা ও সদিচ্ছায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়