জামায়াতে ইসলামী : রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন শুনানি ৩১ জুলাই

আগের সংবাদ

ভোটের আমেজে তৃণমূলে ঈদ : শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে এলাকায় আ.লীগ নেতারা

পরের সংবাদ

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর : সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে কখনোই আলোচনা হয়নি

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : সেন্টমার্টিন দ্বীপ নেয়ার বিষয়ে কখনোই বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। সোমবার পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ তথ্য জানান।
ওই ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, স¤প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ তুলেছেন যে, দেশটির ক্ষুদ্র একটি দ্বীপ সেন্টমার্টিন যুক্তরাষ্ট্র নিতে চায় এবং বিএনপি এই দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করতে চায়। এই দ্বীপ না দেয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র কি আসলেই এই ক্ষুদ্র দ্বীপটি নিতে চায়, নাকি এটি ক্ষমতাসীনদের তরফ থেকে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে? সেন্টমার্টিন দ্বীপটিই বা কেন এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে?
এর উত্তরে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘আমি শুধু বলব, এই তথ্য সঠিক নয়। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপ নেয়ার বিষয়ে আমরা কখনোই কোনো ধরনের আলোচনা করিনি। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে আমরা গুরুত্ব দেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সমর্থন জানানোসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের এই সম্পর্ক আমরা আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি।’
সম্প্রতি কাতার ও সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি এতটুকু বলতে পারি, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা, আমার হাত থেকে এই দেশের কোনো সম্পদ কারো কাছে বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। ওই গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। আর এখনো যদি আমি বলি, ওই সেন্টমার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে লিজ দেব, তাহলে আমাদের ক্ষমতায় থাকতে কোনো অসুবিধা নেই। আমি জানি সেটা। কিন্তু আমার দ্বারা সেটি হবে না।
বাংলাদেশে নির্বাচন ‘বাধাগ্রস্তকারীদের’ ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে স¤প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি লেখেন যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেস সদস্য। ওই চিঠিতে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণের পথ বন্ধ করারও আহ্বান জানান মার্কিন আইনপ্রণেতারা। শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশিদের নিষিদ্ধের মতো বক্তব্য যারা দেয়, রোববার এক অনুষ্ঠানে তাদের বাংলাদেশের ‘শত্রæ’ হিসেবে বর্ণনা করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ওই চিঠিদাতাদের বাংলাদেশের শত্রæ হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়ে এক প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার বলেন, ‘আমি সেই চিঠি দেখিনি। এ বিষয়ে মন্তব্য করার আগে আমি বিস্তারিত পর্যালোচনা করতে চাই।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়