জামায়াতে ইসলামী : রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞার আবেদন শুনানি ৩১ জুলাই

আগের সংবাদ

ভোটের আমেজে তৃণমূলে ঈদ : শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে এলাকায় আ.লীগ নেতারা

পরের সংবাদ

কুরবানিকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য জমজমাট

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আনন্দের বার্তা নিয়ে আসছে ঈদুল আজহা, যাকে কুরবানির ঈদ বা গ্রামে বকরা ঈদ হিসেবে অভিহিত করা হয়। বাংলাদেশের মতো অনেক মুসলিম অধ্যুষিত দেশেই কুরবানির জন্য গরুকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। পছন্দের তালিকায় গরু শীর্ষে। আগামীকাল কুরবানি ঈদ। যারা কুরবানি দেবেন তারা পশুর কিনে ফেলেছেন। অনেকেই গ্রামে গৃহস্থদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে গরু-ছাগল দেখেছেন, কিনেছেন। আবার অনেকে যোগাযোগ করেছেন খামারে। দেশে এবারো কুরবানির জন্য পর্যাপ্ত পশু থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে ছিল না দুশ্চিন্তার ছাপ। বিদেশ থেকে কোনো পশু আনার দরকার নেই বলে জানিয়েছিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। বরং তারা বলেছে, চাহিদার তুলনায় বেশি গরু-ছাগল আছে দেশে। গৃহস্থ, খামারি ও বেপারিরা এগুলো যতেœ পালন করেছেন। এবারো ছিল বাহারি নামের গরু যেমন গরুমিস্টার বাংলাদেশ, রাজাবাবু, জিদান পালোয়ান, কমান্ডো, বিএল, গোল্ড কয়েন, বুড়োমহিষ- পাঠান ও সুলতান। তবে গো-খাদ্যের বাড়তি দামের জন্য কয়েক বছরের মতো এবারো কুরবানির পশুর দাম কিছুটা বাড়তি ছিল। ঢাকায় ২০টি হাটে কুরবানির পশু বেচাকেনা হয়। ঢাকার বাইরে প্রতিটি উপজেলায় বসে পশুর হাট।
পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বলেছেন, এ বছর কুরবানিযোগ্য মোট গবাদি পশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি, যা গত বছরের চেয়ে ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪৪টি বেশি। এর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং ২ হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদিপশু। কুরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১২৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৬১৪টি, খুলনা বিভাগে ১৫ লাখ ১১ হাজার ৭০৮টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ২০৬টি, সিলেট বিভাগে ৪ লাখ ১০ হাজার ২২৫টি, রংপুর বিভাগে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭টি কুরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে। এই সূত্রটি আরো বলছে এ বছর কুরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। সে হিসেবে এ বছর ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। যার ফলে এবারো দেশে উৎপাদিত গবাদিপশু দিয়েই কুরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। দেশে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে কোনোভাবেই বাইরের প্রাণীর ওপর নির্ভরশীল হওয়ার কোনো প্রয়োজন হয়নি। সরকার বলেছিল কুরবানির হাটে চলতি বছর কোনোভাবেই রোগাক্রান্ত বা অসুস্থ পশু বিক্রি করতে দেয়া হবে না। এ লক্ষ্যে গত বছরের মতো এবারো সারাদেশে পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করেছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারো রেলে কুরবানির গবাদিপশু পরিবহন করা হয়। যে অঞ্চলে গবাদিপশুর উৎপাদন বেশি সে অঞ্চল থেকে যে অঞ্চলে উৎপাদন কম সে অঞ্চলে রেলের মাধ্যমে পশু পরিবহন করা যায়। এ ক্ষেত্রে রেল কম খরচে পশু পরিবহনের সুযোগ করে দেয়। দেশের সর্বত্র যাতে কুরবানির পশু পর্যাপ্ত থাকে সে অনুযায়ী পশু পরিবহনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়। কেউ খামারে পশু বিক্রি করলে তার কাছ থেকে হাসিল আদায় করা যাবে না। কোনো খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলেও তাকে হাসিল দিতে হবে না। হাটে আনার পথে কেউ পশু বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারা গ্রাহক জোর করে চাঁদা বা হাসিল আদায় করতে পারবে না। হাটে যাতে কৃত্রিম সংকট না হয়, সে জন্য হাটে আনার পথে, বাড়িতেও পশু বিক্রি করা যাবে। তবে রাস্তায় হাট বসানো যাবে না। এ ছাড়া ডিজিটাল হাটের মাধ্যমেও পশু বিক্রি করার ব্যবস্থা ছিল। দেশের সবচেয়ে পরিচিত পশুর ফার্ম রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদেক এগ্রো ফার্মের ম্যানেজার তাদের সংগ্রহে ১ হাজার ৮০০ গরু আছে। বিদেশি ব্রাহামা জাতের গরু সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা এবং দেশি গরু সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। দেশি এই গরুর ওজন ১ হাজার কেজির বেশি, উচ্চতা ৭১ ইঞ্চি এবং দৈর্ঘ্য সাড়ে ৭ ফুট। তিনি বলেন, এবার সাদেক এগ্রোর আকর্ষণ জিদান, পালোয়ান, কমান্ডো, বিএল, গোল্ড কয়েন ও মিস্টার বাংলাদেশ। জানা গেছে, এ বছর ঝিনাইদহে ২ লাখ ৪ হাজার ৯২৮টি কুরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৬০ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০২২ সালে কুরবানিতে জবাই হয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৭টি পশু। সেই হিসেবে এ বছরও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তবে রাজশাহী জেলায় কুরবানির উপযোগী পশু ছিল ৪ লাখ। চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাহিদার অতিরিক্ত ৫০ হাজার ৩১১টি কুরবানিযোগ্য পশুপালন করা হয়েছে। তা হয়েছে খামার ও পারিবারিকভাবে এবং প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে। নিজ জেলার চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলায়ও গরু পাঠানো হয়। এবার জেলায় কুরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৭৯টি। আর কুরবানির জন্য মোট পশু প্রস্তুত ছিল ১ লাখ ৭৬ হাজার ৬৯০টি। এর মধ্যে গরু ৯৬ হাজার ৫৪৩টি, ছাগল ৭০ হাজার ৩১৯টি, ভেড়া ৯ হাজার ৫৮৭টি ও মহিষ রয়েছে ২৪১টি। অতিরিক্ত রয়েছে ৫০ হাজার ৩১১টি পশু। জেলার ৫ উপজেলায় খামারি রয়েছেন ১২ হাজার ১৫৯ জন।
এ বছর খুলনা জেলায় ৯২ হাজার ৩৭৫টি পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল। এর মধ্যে গরু ২৬ হাজার ৪১৬, ছাগল ৬৩ হাজার ৪৭৫ ও ভেড়া ২ হাজার ৪৩৮টি। জেলায় কুরবানির পশুর চাহিদা ছিল ৮৯ হাজার ৮৬৭টির। প্রায় ৩ হাজার পশু বেশি। এ বছর চট্টগ্রাম জেলায় কুরবানির ঈদে চাহিদা ৮ লাখ ৭৯ হাজার। এর বিপরীতে বিভিন্ন খামার ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পশু উৎপাদন হয়েছে ৭ লাখ ৭০ হাজার। এর মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন খামারে পশু উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ। জেলায় ১৫টি উপজেলা এবং চট্টগ্রাম শহরে কৃষকের খামারে মজুত থাকা গবাদিপশুর মধ্যে কুরবানিযোগ্য ষাঁড় রয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২১১টি, বলদ ১ লাখ ৪০ হাজার ৩১০টি এবং গাভী রয়েছে ৩৭ হাজার ৮০৪টি। মোট গরুর সংখ্যা ৫ লাখ ২৬ হাজার ৩২৫টি। মহিষ রয়েছে ৭১ হাজার ৩৩৩টি। গরু ও মহিষ মিলে মোট ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫৮টি। এ ছাড়া ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪০৫টি। এর মধ্যে ছাগল ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৩টি এবং ভেড়া ৫৮ হাজার ৬৬২টি। বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলায় এবার প্রায় সাড়ে ৪৪ হাজার খামারিসহ ব্যক্তি পর্যায়ে বাসাবাড়িতে পশুপালন করা হয়। পিরোজপুর জেলায় এ বছর ৩৩ হাজার ৫০০টি পশু কুরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল। এর মধ্যে গরু ১৮ হাজার ৭৯৯, মহিষ ১০২, ছাগল ১৩ হাজার ৩২৭ ও ভেড়া ১ হাজার ২৭২টি। জেলায় কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪০ হাজার ২৫০টির। সেই হিসেবে প্রায় ৮ হাজার ৪৮৪ পশু কম ছিল। ক্রেতাদের পছন্দের পশু বাছাইয়ের সুবিধার্থে দেশি-বিদেশি প্রজাতির নানা ধরনের গরু-ছাগলের সমারোহে মুখরিত ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। ইউটিউব ও ফেসবুকে বিশাল আকৃতির লাখ লাখ টাকা দামের মোটাতাজা গরুর ভিডিওতে হচ্ছে লাখ লাখ ভিউ। সাধারণত বড় বড় পশু সংগ্রহেই আগ্রহ দেখা যায় অধিকাংশ ক্রেতার। কিন্তু সম্প্রতি আলোচনা চলছে, নাদুস-নুদুস মোটা-তাজা পশুর মাংস কি স্বাস্থ্যসম্মত? সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতভেদে গরুর আকার নির্ভর করে। তবে একটি পশুকে হৃষ্ট-পুষ্ট করে তুলতে ঘাসের পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত করা খড়সহ নানা দানাদার খাবারও দিতে হয়। অনেকে আবার বেশি মুনাফার আশায় স্টেরয়েডসহ নানা ভিটামিন খাইয়ে গরু দ্রুত মোটাতাজা করে থাকেন। সেসব গরুর মাংসে পুষ্টিগুণ কমে যাওয়াসহ মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদানও থাকতে পারে। সেই বিবেচনায় কম কোলেস্টেরলযুক্ত গ্রাস ফিড বা ঘাস জাতীয় খাদ্য খেয়ে বড় হওয়া পশুর মাংসের ওপর জোর দেয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুধু ঘাস ও দানাদার খাদ্য খাওয়ানো গরুর চেয়ে স্টেরয়েড ও ভিটামিন খাইয়ে অতিরিক্ত মোটাতাজা করা গরুর শরীরে ৪-৫ গুণ চর্বি থাকে। শুধু ঘাস খাওয়া গরুর মাংসে ৫ গুণ বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ও ২ গুণ বেশি কনজুগেটেড লিওনিক এসিড থাকে। যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। খেতে সুস্বাদু ও কম কোলেস্টেরলযুক্ত মাংস হওয়ায় গ্রাস ফিড পশুই পছন্দের শীর্ষে রাখা উচিত। তাই পছন্দের গরুটি ঘরে আনার আগে সেই পশুটির ওজন-খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে ধারণা রাখা জরুরি। তা না হলে পশু কিনে আপনি ঠকে যেতে পারেন। একটি গরুর ওজন সাধারণত নির্ভর করে জাত, আবহাওয়া ও পুষ্টির ওপর। সে হিসাবে দেশি জাতের একটি গরু সাধারণত ২ বছর বয়সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়। যা মাংসের জন্য সবচেয়ে ভালো হয়ে থাকে। এ সময় একটি ষাঁড় গরুর ওজন হয় ২০০-২৫০ কেজি। গাভীর ওজন হয় ১৫০-২২০ কেজি। এ ছাড়াও জাত ভেদেও গরুর ওজন কম-বেশি হয়। দেশে বিদ্যমান পশুর যে জাত রয়েছে সেক্ষেত্রে রেড চিটাগাং জাতের একটি ষাঁড়ের ওজন হয় ২৫০-৪০০ কেজি ও গাভীর ওজন হয় ১৫০-২৩০ কেজি। প্রথম বছরে ওজন বাড়ে ৬০-৬৫ কেজি। যা দ্বিতীয় বছরে বেড়ে দাঁড়ায় ১০০-১০৫ কেজি। এ ছাড়া খেতে সুস্বাদু ও কম কোলেস্টেরলযুক্ত মাংস হওয়ায় গ্রাস ফিড পশুই পছন্দের শীর্ষে রাখা উচিত। দেশে বিদ্যমান পশুর যে জাত রয়েছে সেক্ষেত্রে রেড চিটাগাং, নর্থ বেঙ্গল গ্রে, পাবনা ক্যাটল, মুন্সীগঞ্জ ক্যাটেল, শাহিওয়াল, সিন্ধি, হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। অনেকেই বড় গরুর মাংস খেয়ে প্রশান্তি নেন। তবে এখানে বড়-ছোট বা দেশি-বিদেশি মুখ্য নয়, সুস্থ পশু নির্বাচনই গুরুত্বপূর্ণ। তাই যে পশুটি চঞ্চল-প্রাণবন্ত সেটিই সুস্থ। আর গ্রাস ফিড খাওয়া পশুদেরই এমনটি হতে দেখা যায়।
ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করার জন্য খামারিরা কিছু অসাধু চিকিৎসকের পরামর্শে স্টেরয়েড গ্রুপের বিভিন্ন নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। এসব ওষুধ খেলে গরুর কিডনি ও যকৃতের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ায় শরীর থেকে পানি বের হতে পারে না। এ কারণে শোষিত হয়ে পানি সরাসরি গরুর মাংসে চলে যায়। এ কারণে গরু একটু মোটা দেখায়। এ ধরনের গরুর মাংস খেলে কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। ওষুধের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা বন্ধের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি, সেই সঙ্গে সবার সচেতনতা জরুরি। গরুর হাট ব্যবস্থাপনায় প্রতি বছরের মতো এবারো সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে, যেখানে খামারি ও পশুর নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অপরদিকে কুরবানির ঈদের একটি সামাজিক প্রেক্ষাপটও রয়েছে বিশেষত সমাজের সুবিধা পাচ্ছে না এমন ব্যক্তিদের মাঝে কুরবানির মাংস বিতরণ সেটা ব্যক্তির মাধ্যমে কিংবা কমিউনিটির মাধ্যমেই হোক। পশু কুরবানি দেয়ার একটি দল আছে যারা এই সময়টিতে অত্যন্ত নিপুণতার সঙ্গে কাজটি করে আয় রোজগারের পথটিকে প্রশস্ত করে থাকে। আবার যারা ব্যক্তি পর্যায়ে খামার করে সমৃদ্ধির পথ দেখছে তারাও এখন আগের তুলনায় উদ্যোগী হয়েছে। কারণ দেশীয় পশুর চাহিদা অনেকের কাছে বেশি বিধায় এটি একটি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলো। ঈদুল আজহার মর্মবাণী সমাজের সব স্থলে সব মানুষের কাছে সমভাবে বিস্তার লাভ করুক সে প্রার্থনা রইল।

ড. মিহির কুমার রায় : কৃষি অর্থনীতিবিদ ও গবেষক; ডিন, সিটি ইউনিভার্সিটি।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়