সংবাদ সম্মেলনে ছেলের দাবি : হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ফাঁসানো হয়েছে

আগের সংবাদ

কুরবানি ঘিরে চাঙা অর্থনীতি : ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা, রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড

পরের সংবাদ

রাউজানে গরুর চড়া দামে বিপাকে মধ্যবিত্তরা

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : গত কয়েক বছরগুলোর তুলনায় এবার গরুর দাম বেশি বলে দাবি করছেন কুরবানিদাতারা। হাটে গরু ক্রয় করতে আসা কয়েকজন জানিয়েছেন, গত বছর যে গরুর দাম ৬০ হাজার টাকায় কিনে কুরবানি করেছিলেন এবার সেই গরুগুলো বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এবার একই আকারের গরু দাম হাঁকছেন ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। এতে রাউজানের কুরবানিদাতারা বলছেন শরিক পদ্ধতিতে বেশি কুরবানি হবে এবার। বিশেষ করে চাহিদার তুলনায় বাজারে ও বিভিন্ন খামারে গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্তরা। বিশেষ করে এই উপজেলায় প্রবাসী ও কৃষি কাজের ওপর নির্ভিরশীল মানুষ ভাগ করে কুরবানি দিতে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। গত বছর যিনি একা কুরবানি করেছেন তিনি এবার শরিক আকারে কুরবানি দেবেন বলছেন। কুরবানিদাতারা বলছেন রাউজানে প্রায় এলাকায় শরিক বা ভাগে কুরবানি দেয়ার সংখ্যা বেড়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরে কুরবানিদাতা ও গরু বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। গত শনিবার রমজান আলী চৌধুরীহাটে গরু কিনতে আসা মো. আবদুল সালাম নামে একজন বলেন, আগে আমি একা কুরবানি দিতাম, বর্তমানে আমার দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন এরপরও এবার একা গরু কিনে কুরবানি দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বাজারে দ্রব্যমূল্য এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় এবার একা কুরবানি দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান। তাই এলাকার কয়েকজন মিলে ভাগে কুরবানি করবেন।
এ উপজেলার গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি কুরবানির গরু রয়েছে। তবে হাটে আসা ক্রেতারা গরুর দাম শুনে হতাশ হয়ে বাজার ঘুরে চলে যাচ্ছেন। তারা জানান, গরুর খাদ্যের দাম ও তাদের লালন-পালনে খরচ অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়েছে। তাই বাজারে গরুর দাম বাড়তি চাওয়া হচ্ছে। অনেকে গত বছর গরু দিয়ে কুরবানি দিলেও এবার ছাগল দিয়ে কুরবানি দেয়ার আশা করছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন এবার কুরবানি দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে রাউজানে ছোট-বড় বেশ কিছু হাটে মোটামুটি বিক্রি হয়েছে গরু। তবে হাতে আর কয়েকদিন সময় থাকায় মানুষ গরুর দাম কমা নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে। অনেকে এলাকা থেকে লালন-পালন করা দেশি গরু কিনে নিচ্ছেন। তবে রাউজানে দেশি গরুর চাহিদা কুরবানিতে বেশি দেখা যায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে জানা যায়, রাউজানে আসন্ন কুরবানিকে সামনে রেখে বিভিন্ন খামারে প্রায় ৪১ হাজার গরু ও মহিষ প্রস্তুত আছে। স্থানীয় পশুর পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাটে ও পিংক সিটি-২ অস্থায়ী বাজারে বিপুলসংখ্যক পশু বেপারিরা বিক্রির উদ্দেশ্যে গরু নিয়ে আসেন। এতে চাহিদা পূরণ হবে।

আমাদের পশুর সংকট থাকবে না। আরো জানান, গো-খাদ্যের দাম বাড়াতে এবার গরুর দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়