সংবাদ সম্মেলনে ছেলের দাবি : হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ফাঁসানো হয়েছে

আগের সংবাদ

কুরবানি ঘিরে চাঙা অর্থনীতি : ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা, রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড

পরের সংবাদ

তিতাসে হত্যাকাণ্ডের জেরে ভাঙচুর-লুটপাট চলছেই

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা জহির হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থামছে না ভাঙচুর ও লুটপাট। হত্যাকাণ্ডের ৬-৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন মাঝে মাঝে রাতের আঁধারে ঘটে চলেছে ভাঙচুরের ঘটনা। এ পর্যন্ত ৪টি প্রজেক্টের মাছ ধরে বিক্রি, প্রায় ২৭টি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। ৪৫টি পরিবার এলাকা ছাড়া। তারা এখন ইদ করতে আসতেও ভয় পাচ্ছে। ইদকে ঘিরে যে কোনো সময় ঘটতে পারে অঘটন।
হত্যাকাণ্ডের পর মানিককান্দি গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে ও দুলারামপুর বাজারের কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। থেমে থেমে ও বিচ্ছিন্নভাবে এখনো হচ্ছে ভাঙচুর ও লুটপাট।
গত শনিবার তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আনোয়ারের বাড়িতে গ্রিল কেটে এসি, টিভিসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তিতাস থানা পুলিশ ইয়াছিন নামে একজনকে আটক করেছে। এ বিষয়ে বিবাদী পক্ষের মোয়াজ্জেম হোসেন আনোয়ার বলেন, কে বা কারা ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে আমরা জানি না। কারণ আমরা এলাকায় থাকি না। জহির হত্যার বিচার আমিও চাই। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচার হোক। কিন্তু ঢালাওভাবে ভাঙচুর, লুটপাট গ্রহণযোগ্য নয়।
এ সময় উপস্থিত আশপাশের বাড়ির কয়েকজন নারী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দীর্ঘ ৬-৭ মাস ধরে এলাকাছাড়া। কয়েক দিন পর কুরবানির ঈদ। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে বাড়িতে থাকতে পারছি না। কত দিন পালিয়ে বেড়াব? এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়?
এছাড়া জহির হত্যা মামলার আসামি মোকারমদের ৫টি ঘর, মোহন ভূঁইয়ার ৩টি ঘরে ব্যাপক ভাঙচুরসহ লতিফ, কামাল ভূঁইয়া, শফি ভূঁইয়া, ডালিম ভূঁইয়া, মোহন ভূঁইয়া, মুর্শিদ, হবি মাস্টার, প্রফেসর নজরুল ইসলাম, মোজাম্মেল, হালিম, সাহেব আলী, জলিল, মুসা মেম্বার, তাহের আলী, সাইফুল মেম্বার, সালামত ও আলালসহ অনেকের বাড়িঘর দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যুবলীগ নেতা জহির হত্যা মামলার বাদী এসহাক মোল্লা জুয়েল বলেন, লুটপাট ও ভাঙচুরের সঙ্গে আমরা কেউ জড়িত নই। তারা নিজেরাই নিজেদের বাড়িঘর ভেঙেচুরে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। কে বা কারা ভাঙচুর করেছে আমরা জানি না।
তিতাস থানার ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, ওই এলাকায় আমরা কিছুদিন পুলিশ ক্যাম্প বসিয়ে রেখেছিলাম। প্রতিদিনই পুলিশ টহল দিচ্ছে। বিচ্ছিন্নভাবে হয়তো কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আর যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর জমির মালিকানা নিয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষ কুপিয়ে হত্যা করে যুবলীগ নেতা জহিরকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়