সংবাদ সম্মেলনে ছেলের দাবি : হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ফাঁসানো হয়েছে

আগের সংবাদ

কুরবানি ঘিরে চাঙা অর্থনীতি : ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা, রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড

পরের সংবাদ

ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার তাপস : জরুরি পরিচালন কেন্দ্র স্মার্ট ঢাকা গড়ার নতুন ধাপ

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করতে জরুরি পরিচালন কেন্দ্র (ইওসি) চালু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। গতকাল সোমবার নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে এই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন সংস্থাটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি পরিচালন কেন্দ্রসহ পাঁচটি কেন্দ্র উদ্বোধন করে আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর উচ্চশিখরে পৌঁছতে পেরেছি। এজন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে রূপকল্প দিয়েছেন, তারই অংশ হিসেবে স্মার্ট ঢাকা গড়ার একটি নতুন ধাপে উন্নীত হওয়া গেছে। এই জরুরি পরিচালন কেন্দ্র অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলার তাৎক্ষণিক তথ্যগুলো আমরা দেখতে ও জানতে পারব। যেমন- এখন যদি বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোথাও ভূমিকম্প হয়, সেই তথ্যটি আমরা তাৎক্ষণিক পেয়ে যাব। তেমনি বন্যা ও আবহাওয়াসহ যে কোনো দুর্যোগের তথ্য আমরা এই পরিচালন কেন্দ্রে পেয়ে যাচ্ছি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম, আরবান রিজিলিয়েন্স প্রকল্পের পরিচালক আরিফুর রহমানসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা।
ব্যারিস্টার তাপস বলেন, দুর্যোগ অত্যন্ত জরুরি বিষয়, এজন্য তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কী জরুরি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন সেগুলোর বিচার, বিশ্লেষণ, পর্যালোচনা এখানে বসেই করতে পারব। সুতরাং আজকে এই জরুরি পরিচালন কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হলাম। এখন থেকে আমরা এই পরিচালন কেন্দ্রের মাধ্যমে যে কোনো দুর্যোগপূর্ববর্তী এবং পরবর্তী কার্যক্রমগুলো এখান থেকে পরিচালনা ও তদারকি করতে পারব।
পরিচালন কেন্দ্রের কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়র বলেন, আমরা ৯ জন কাউন্সিলরের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় স্থায়ী কমিটি গঠন করেছি। দুর্যোগপরবর্তী সভা করেছি। সেখানে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠসহ যে খোলা জায়গাগুলো রয়েছে, সেগুলো জিআইএস ম্যাপের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা সেগুলো ব্যবহার করব। যাতে দুর্যোগের সময় আমাদের এলাকাবাসী সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন। পরবর্তীতে যাতে সেখান থেকে আমরা উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি।

এবার ঈদে কুরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম এই জরুরি পরিচালন কেন্দ্র থেকে পরিচালনা করা হবে। মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও আমরা এখান থেকে পরিচালনা করতে পারব। এর বাইরেও সব ধরনের কার্যক্রমে এই জরুরি পরিচালন কেন্দ্র অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
মেয়র বলেন, আমরা ইতোমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক গঠনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। তাদের আমরা জরুরি প্রশিক্ষণ ও মহড়া দেব। যাতে তারা যে কোনো দুর্যোগে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সরবরাহ ও ব্যবস্থা নিতে পারে। আমরা আমাদের ব্যাপক কার্যক্রমের মাধ্যমে দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেসব নিয়ম-শৃঙ্খলা পালন করা হয় সেসব বিষয়ে দক্ষ ও পারদর্শী হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়