সংবাদ সম্মেলনে ছেলের দাবি : হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ফাঁসানো হয়েছে

আগের সংবাদ

কুরবানি ঘিরে চাঙা অর্থনীতি : ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা, রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড

পরের সংবাদ

গ্রেপ্তার ৯ : দুই মাসে ছড়ানো হয়েছে ৫ কোটি জাল নোট

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর লালবাগ এলাকায় জাল টাকার কারখানার সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার লালবাগ বিভাগ। এ সময় নকল নোট তৈরি চক্রের হোতা বাবুল শেখসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- লিমা আক্তার রিনা, ইব্রাহিম শেখ, মো. আফাজুল ওরফে রাসেল, মো. হাবিবুল্লাহ, মো. দুলাল হোসেন ওরফে ইকবাল, সাইফুল ইসলাম ওরফে রনি, মোছা. মিলি ও আল্পনা আক্তার রিপি।
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) বলছে, গত দুই মাসে ৫ কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছাড়ে চক্রটি। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আরো দুই কোটি টাকার জাল নোট তৈরির পরিকল্পনা ছিল। এর মধ্যে ৮২ লাখ টাকার জাল নোট তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এসব জাল নোট বাজারে ছাড়ার আগেই ডিবির হাতে ধরা পড়ে চক্রটির হোতা বাবুল শেখসহ ৯ জন। বাবুল শুধু নিজেই নয় একাধিক বিয়ে করে স্ত্রীদেরও জাল টাকা তৈরির কাজে লাগিয়েছেন। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ৬ বার জেল খেটেছেন তিনি। জেল থেকে জামিন পেতে টাকার দরকার ছিল। তাই উচ্চ সুদে ঋণ নেয়া মোটা অঙ্কের টাকা পরিশোধ করতে জেল থেকে বেরিয়ে বারবার একই কাজে যুক্ত হয়েছেন তিনি।
গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ডিবি শাখার অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গত রবিবার লালবাগের কাশ্মীরি লেনের স্বপ্ন শপিং মার্কেটের পাশের এক গলিতে চারজনের সন্দেহজনকভাবে চলা-ফেরা দেখে সন্দেহ হলে আটক করে তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও শরীর তল্লাশি করা হয়। এ সময় প্রায় ২৫ লাখ জাল টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তাররা মূলত প্রান্তিক পর্যায়ে জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশে বের হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে কাশ্মীরি লেনের জাল টাকার উৎসস্থলে একটি ভবনে নিয়ে যায়। ওই ভবনেরই তৃতীয় ও ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালিয়ে কারখানাটি আবিষ্কার করা হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, হোতা বাবুল জাল টাকা নিয়ে এর আগে ৬ বার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। আর তার স্ত্রী মিনারা খাতুন ৩ বার ও সাইফুল ইসলাম দুই বার বিভিন্ন মেয়াদে জেলহাজতে ছিলেন। জামিনে মুক্তি পেতে তাদের লাখ লাখ টাকা খরচ হয়। যার জন্য উচ্চসুদে ঋণও নেন তারা। আর এই ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে ফের তারা একই কাজে জড়িয়ে পড়েন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়