সংবাদ সম্মেলনে ছেলের দাবি : হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে ফাঁসানো হয়েছে

আগের সংবাদ

কুরবানি ঘিরে চাঙা অর্থনীতি : ৭০ থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা, রেমিট্যান্স প্রবাহে রেকর্ড

পরের সংবাদ

কাউনিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ঘাস চাষ

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গৌতম সরকার, কাউনিয়া (রংপুর) থেকে : কাউনিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গত কয়েক বছরে ছোট-বড় মিলিয়ে শতাধিক গরুর খামার গড়ে উঠায় গোখাদ্য সংকট নিরশনে বিদেশি নেপিয়ার ও পাকচং ঘাস চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ঘাস চাষ করে বাজিমাত করেছে তালুকশাহাবাজ গ্রামের খামারি ইন্দ্রজিৎ ভুট্টু।
সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খামারিদের কাছ থেকে জানা গেছে, বছরের একটা সময় গোখাদ্য সংকটে তাদের পড়তে হয়। সংকট নিরসনে তারা নেপিয়ার ও পাকচং ঘাস চাষ করছে। ইদ্রজিৎ ভুট্টু জানান, নেপিয়ার ঘাস দুগ্ধ জাত গাভীকে খাওয়ালে বেশি পরিমাণে দুধ পাওয়া যায়, এছাড়াও গর্ভবতী গরুকে এ ঘাস খাওয়ালে বাছুর অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পায় এবং স্বাস্থ্যবান হয়। এসব কারণে এ ঘাসের জনপ্রিয়তা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি ঘাস বাণিজ্যিকভাবে অনেকে চাষ করছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সিঞ্চিতা রহমান জানান, ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রজেক্টের আওতায় ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে প্রায় প্রতিটি গরুর খামারি এ ঘাসের চাষ করছে। এছাড়া প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে কাটিং চারা বিভিন্ন চাষির মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
তালুকশাহাবাজ গ্রামের বড় খামারি ইন্দ্রজিৎ ভুট্টুসহ অনেকে জানান, তারা বেশ কয়েক বছর থেকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরামর্শে নেপিয়ার ও পাকচং ঘাস চাষ করে আসছে। তাদের দেখাদেখি আনেকেই এখন এ ঘাস চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ঘাসের চাহিদা বৃদ্ধি ও ভাল দাম পাওয়ায় অনেকেই এ ঘাস চাষে ঝুঁকে পড়ছে।
এ ঘাস চাষে তেমন কোনো পুজির প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া উৎপাদন ব্যয় ধান চাষের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম। ভুট্টু জানান, দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠার পর থেকে গোখাদ্যের সংকট ছিল। পরে লালমনিরহাট মেলিটারি ফার্ম ও গাইবান্ধা থেকে কাটিং চারা এন চাষ শুরু করেন। বর্তমানে ৯২ শতক জমিতে ঘাস চাষ করার পর থেকে এখন আর সংকট নেই। ঘাস না থাকলে তার খামারের জন্য ২ থেকে ৩ লাখ টাকার ঘাস কিনতে হতো।
তিনি জানান, ঘাস একবার লাগালে আর লাগাতে হয় না।
ঘাসের গোড়া থেকে এক ফিট উপড়ে কাটলে পড়ে সেখান থেকে আবার ঘাসের আগা বের হয়। উপজেলার দরিদ্র চাষিদের পৃষ্ঠপোষকতা করলে এবং পরিত্যাক্ত খাস জমিতে লিজের মাধ্যমে ঘাস চাষের ব্যবস্থা করলে এলাকায় গোখাদ্য সংকট থাকবে না এবং কৃষকের বাড়তি আয়ের উৎস তৈরিসহ দুগ্ধ উৎপাদনে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, রংপুর বিভাগের মধ্যে কাউনিয়া উপজেলা ইতিমধ্যে দুগ্ধ উৎপাদনে প্রথম স্থানে রয়েছে। এ উপজেলায় সরকারি বেসরকারি মিলে প্রায় ২২ হেক্টর জমিতে নেপিয়ার ও পাকচং ঘাস চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ঘাস বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে। কাউনিয়ায় দিন দিন ঘাস চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়