প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
অ্যাশেজ টেস্টের প্রথম ম্যাচ শেষ হয়েছে গত ২০ জুন। ১৬ জুন ম্যাচ শুরু হওয়ার পর পাঁচদিনই ব্যাট হাতে দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খাজাকে। ম্যাচজুড়ে অন্য ব্যাটাররা ধারাবাহিকভাবে আউট হতে থাকলেও তিনি ধৈর্য ধরে রয়েসয়ে খেলেছেন। তার রক্ষণাত্মকধর্মী খেলার ওপর ভর করেই মূলত জনপ্রিয় অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছিল লাল বলের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। মারমুখী খেলায় তাদের উইকেট দ্রুত পতন হলেও প্রথম ইনিংস শেষে তারা ৩৯৩ রানের সংগ্রহ গড়তে সক্ষম হয়। প্রথম দিনের তৃতীয় সেশন শেষ হওয়ার আগেই সব ইংলিশ ব্যাটার সাজঘরে ফিরে যায়। এরপর থেকে শুরু হয় উসমান খাজাময় টেস্ট। প্রথম দিন শেষে তিনি দ্বিতীয় দিনও অপরাজিত থেকেই শেষ করেন। অজিদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ম্যাচের তৃতীয় দিনে। যেখানে তৃতীয় দিন পর্যন্ত উইকেটে টিকে ছিলেন উসমান খাজা। তিনি দলীয় প্রথম ইনিংসে ৩২১টি বল মোকাবিলা করে ১৪১ রান করেন। এরপর তৃতীয় দিনের দুই ইনিংস এবং চতুর্থ দিনের দুই ইনিংস ব্যাটিং করে ইংলিশরা ২৮১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় অজিদের সামনে। এক দিন ও এক সেশন হাতে রেখে লক্ষ্যভেদ করতে মাঠে নামেন উসমান খাজা এবং ডেভিড ওয়ার্নার। নিজেদের প্রথম ইনিংসে সবাই রক্ষণাত্মক ব্যাটিংয়ে সফলতা পেলেও শেষ ইনিংসে তারা একে একে সাজঘরের দিকে ফিরে যান। এক প্রান্তে উইকেট পতনের মিছিল চললেও অপরপ্রান্তে টিকে ছিলেন উসমান খাজা। চতুর্থ দিন শেষে তিনি ম্যাচের শেষ দিন পর্যন্ত দলের হালটা শক্ত হাতে ধরে রাখেন। দলীয় দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে ৬৫ রান যোগ হয়।
যা ছিল ম্যাচে অজিদের হয়ে সেই ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। শেষ মুহূর্তে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়লেও প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়নের দুর্দান্ত জুটিতে ২ উইকেটের জয় পায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে শিরোপা ঘরে তোলা অজিরা।
সাদা পোশাকে অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে উসমান খাজার যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের ৩ জানুয়ারি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে। এরপর থেকে অজি শিবিরের হয়ে তিনি ৬২টি লাল বলের ম্যাচে ব্যাট হাতে খেলেছেন। তার ব্যাট থেকে এই পর্যন্ত অজি স্কোরবোর্ডে ৪ হাজার ৭১৪ রান যোগ হয়েছে। উসমান খাজা টেস্ট ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ১৯৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। এক যুগের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে তিনি শতরানের দেখা পেয়েছেন ১৫ বার।
:: শাহাদাত হোসেন কিফাত
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।