ইসলামী আন্দোলন : নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা ঘোষণা

আগের সংবাদ

কুরবানির পশুর দাম বেশি যে কারণে > আফতাবনগর হাট : এখনো জমেনি হাট গরুও উঠেছে কম

পরের সংবাদ

টানা বৃষ্টি ও মেঘনায় পানি বৃদ্ধি : বর্ষার শুরুতেই ভাঙন কাজিপুরা ফেরিঘাটে

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও মেঘনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙতে শুরু করেছে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া প্রান্তের কাজিপুরা ফেরিঘাট। ফলে মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ এবং ঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া নৌরুটে প্রথম বারের মতো ফেরি সার্ভিস উদ্বোধন করেন। তবে বেহাল সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যানবাহন সংকটের কারণে পাঁচ মাস চলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ চার বছর পর ফের ২০২২ সালে ৯ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিসটি উদ্বোধন করেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। কিন্তু বছর যেতে না যেতেই গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও মেঘনা নদীর পানির স্রোতে গজারিয়া অংশে কাজিপুরা ফেরিঘাটের পন্টুনের নিচ থেকে বড় বড় মাটির চাপ নদীতে ধসে পড়ে। এতে ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ৫০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে কাজিপুরা ফেরিঘাট এলাকার প্রায় ১০টি পরিবারের বসতভিটা রয়েছে হুমকিতে।
স্থানীয়রা বলেন, ফেরিঘাট ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কেউ ভাঙন রোধে এগিয়ে আসছে না। ক্রমাগত ভাঙনের কারণে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে তারা। মোটরসাইকেল চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ফেরিঘাটে এসে দেখি ফেরি নাই। এখন নারায়ণগঞ্জ দিয়ে ঘুরে মুন্সীগঞ্জে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ঘাটটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
কাজিপুরা ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা হাজি আব্দুল গাফফার বলেন, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা এসে পন্টুন উঁচ করে দিয়ে যান। এখনই যদি ভাঙন রোধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেন, কোনো যানবাহন আর নদী পার হতে পারবে না। অপরদিকে আমাদের বসত বাড়ি রক্ষা করাও কঠিন হয়ে যাবে।
বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক রাসেদুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধি ও টানা কয়েক দিনের বর্ষণে ফেরিঘাট এলাকার কিছু অংশ ভেঙে গেছে। ঘাট যাতে রক্ষা করা যায় সে জন্য আমরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, খুব দ্রুত নদীশাসনের কাজ শুরু করতে না পারলে এবারও গজারিয়ার অনেক অংশ ভেঙে বিলীন হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়