ইসলামী আন্দোলন : নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের রূপরেখা ঘোষণা

আগের সংবাদ

কুরবানির পশুর দাম বেশি যে কারণে > আফতাবনগর হাট : এখনো জমেনি হাট গরুও উঠেছে কম

পরের সংবাদ

জি কে শামীমের অর্থ পাচার মামলার রায় পেছাল

প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : যুবলীগের কথিত নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ আটজনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনের মামলার রায় পিছিয়েছে। গতকাল রবিবার মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী অধিকতর যুক্তি উপস্থাপন করেন। এরপর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৭ জুলাই নতুন দিন ধার্য করেন।
এরআগে গত ১৫ জুন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায়ের জন্য গতকালকের দিন ধার্য করেন আদালত। যুক্তিতর্ক শেষে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছরের কারাদণ্ডের প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আসামিরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবেন।

এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মোরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আনিছুল ইসলাম। সবাই জি কে শামীমের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সাত সশস্ত্র দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে তার কার্যালয় থেকে আটক করে র?্যাব। এ সময় সেখান থেকে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুরের ডলার, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, অস্ত্র, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। এরপর গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এতে বলা হয়, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশেও পাচার করেছেন। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় আলাদা মামলা করে র‌্যাব।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। ওই বছরের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গ্রহণ করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। শামীমের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলার মধ্যে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে মামলায় সাত দেহরক্ষী ও তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়