রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

ডুবোযান টাইটান : ‘অন্তর্মুখী বিস্ফোরণ’ নিয়ে কানাডায় তদন্ত শুরু

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবোযান টাইটানে অন্তর্মুখী বিস্ফোরণে ৫ আরোহী নিহতের ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন কানাডার নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তারা। গত শুক্রবার তদন্ত শুরুর এ ঘোষণা দেন তারা। কিন্তু মহাসাগরের আন্তর্জাতিক সীমানায় ঘটা এ ঘটনায় নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের ভূমিকার ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
গত রবিবার পানির নিচে থাকা জাহাজ টাইটানিকের শতাব্দী পুরনো ধ্বংসাবশেষ দেখাতে পর্যটকদের নিয়ে ডুব দিয়েছিল টাইটান, কিন্তু যাত্রার পৌনে দুই ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রক জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিখোঁজ হয় ডুবোযানটি।
কয়েকদিনের টানা অনুসন্ধানের পর বৃহস্পতিবার উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের তলে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের অদূরে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পায় কানাডার একটি রোবোটিক ডাইভিং যান।
পরে উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দেয়া মার্কিন কোস্ট গার্ড জানায়, একটি অন্তর্মুখী বিস্ফোরণে টাইটান ধ্বংস হয়েছে। এ ঘটনায় ডুবোযানটির পাঁচ আরোহীর সবার মৃত্যু হয়।
এর মাধ্যমে ডুবোযানটি উদ্ধারে টানা ৫ দিন ধরে চলা আন্তর্জাতিক অভিযান শেষ হয়।
শুক্রবার দেয়া বিবৃতিতে কানাডার পরিবহন নিরাপত্তা পরিষদ (টিএসবি) বলেছে, তারা টাইটানের সমুদ্র অভিযানের ‘পরিস্থিতি সম্পর্কিত নিরাপত্তা তদন্ত’ শুরু করছে, কেননা, সমুদ্রপৃষ্ঠে এই ডুবোযানের যে নিয়ন্ত্রক জাহাজ ছিল, সেই পোলার প্রিন্স কানাডার পতাকাবাহী। তথ্য জোগাড় ও নানাজনের সাক্ষাৎকার নিতে দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৪০০ মাইল উত্তরে নিউফাইন্ডল্যান্ডের সেইন্ট জনসে টিএসবির একটি দলকে পাঠানো হয়েছে, বলেছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার মার্কিন কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার সাংবাদিকদের বলেন, প্রাপ্ত ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে ‘যানটির মারাত্মক অন্তর্মুখী বিস্ফোরণের’ সামঞ্জস্য পাওয়া গেছে। যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, ডুবোযানটি সমুদ্রের যে উচ্চতায় থাকার কথা, সেখান থেকেও আরো নিচে ডুবে যায় এবং ওই গভীরতায় পানির ভয়াবহ চাপে চুরমার হয়ে যায়।
নিহত ৫ আরোহীর মধ্যে টাইটানের পরিচালক প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওশানগেট এক্সপেডিশনসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী স্টকটন রাশও আছেন, তিনিই ডুবোযানটি চালাচ্ছিলেন। এই ডুবোযানে করে টাইটানিকের ধ্বংসস্তূপ দেখতে এক একজনকে আড়াই লাখ ডলার দেয়া লাগত।
নিহতদের মধ্যে আরো আছেন ৫৮ বছর বয়সি ব্রিটিশ ধনকুবের ও অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ ও তার ১৯ বছর বয়সি ছেলে সুলেমান এবং ৭৭ বছর বয়সি ফরাসি সমুদ্রবিজ্ঞানী পল-অঁরি নারজেল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়