রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

গোলাপকে দায়ী করলেন পদ প্রত্যাখ্যানকারীরা : ওলামা লীগের কমিটি বাতিলের দাবি একাংশের

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ওলামা লীগের সদ্য ঘোষিত ২৮ সদস্যের কমিটিকে জামায়াত-বিএনপির খেলাঘর বলে আখ্যায়িত করেছে সংগঠনটির একাংশ। তাদের দাবি, এই কমিটি জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের মোর্চা। এছাড়া কমিটি বির্তকের পেছনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ দায়ী বলেও অভিযোগ করেন তারা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ৩য় তলার মওলানা মুহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ফেসবুকে প্রকাশিত ওলামা লীগের কমিটি বাতিলের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা এ অভিযোগ করেন। তারা বলেন, এই কমিটি জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের মোর্চায় পরিণত হয়েছে।
ওলামা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কাজী আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরীর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন জুয়েল, মাওলানা আনোয়ার শাহ, কারি মাওলানা আসাদুজ্জামান, হাজি হাবিবুল্লাহ রূপগঞ্জী, হাফেজ মাওলানা আখতার হোসাইন ফারুকী, মুফতি হাসানুজ্জামান চিশতী, হাফেজ মাওলানা সুলাইমান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী বলেন, ওলামা লীগের সম্মেলনের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। রাতের আঁধারে ফেসবুকে প্রকাশিত ওলামা লীগের আংশিক কমিটি জামায়াত-বিএনপির খেলাঘর।
জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের মোর্চায় পরিণত হয়েছে। এই কমিটি গঠনের পেছনে ছিলেন ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। এছাড়াও দলের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা ওলামা লীগের কমিটি গঠন নিয়ে অনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা অর্থের লোভে জামায়াত-বিএনপির অপকৌশলে পা দিয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
মুফতী মাসুম বলেন, আওয়ামী লীগ দাপ্তরিকভাবে এই কমিটি প্রকাশ করেনি। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ওলামা লীগের গঠনতন্ত্রের অনুকরণ করা হয়নি। কমিটির শীর্ষ পদে ওলামা লীগের মূলধারার কেউ নেই। ওলামা লীগের কমিটিতে যে সমস্ত মুখ রয়েছে তারা কারা? তাদের অতীত রাজনৈতিক পরিচয়ই বা কি? তাও অজানা। সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে সাবেক ছাত্রনেতা সাগর আহমদ শাহীনকে কার্যকরী সভাপতি পদ দিয়ে পুরো কমিটি জায়েজ করার অপকৌশল নেয়া হয়েছে। সুতরাং, সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ যারা কমিটিতে রয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে তাদের বিষয়ে তদন্ত করা হোক। এছাড়াও ইতোমধ্যে ওলামা লীগের সম্পাদক আমিনুল হকের নারী নিয়ে আপত্তিকর ভিডিও গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে- যা সবারই জানা। এই ভিডিও দেখে আমরা লজ্জিত হয়েছি।
লিখিত বক্তব্যে কয়েকটি দাবিও তুলে ধরেন মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফেসবুকে প্রকাশিত ওলামা লীগের কমিটি বাতিল করা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি সার্চ কমিটি গঠন। সার্চ কমিটি ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে যাচাই-বাচাই করে ওলামা লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়