রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

আগের সংবাদ

সিসিক মেয়রের প্রতি প্রধানমন্ত্রী : মেয়র নয়, সেবক হিসেবে কাজ কর

পরের সংবাদ

‘কালা মানিক’ বিক্রি করে মা ও বাবাকে হজ করাবেন আহাদ

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

খালেদ আহমদ, সিলেট থেকে : সিলেট সিটি করেপারেশনের ৩৭নং ওয়ার্ডের দুসকি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল আহাদ। পেশায় মোটর মেকানিক, রয়েছে নিজস্ব মোটরসাইকেল ওয়ার্কশপ। শখ করেই নিজেদের পালিত গাভীর একটি বাচ্চাকে পাঁচ বছর ধরে লালন-পালন করে বড় করেছেন। নাম দিয়েছিলেন কালো মানিক। কালো মানিক এখন বিশাল আকৃতির ষাঁড়। ওজন প্রায় ২০ মণেরও বেশি।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভোরের কাগজের সঙ্গে আলাপকালে আব্দুল আহাদ কালো মানিককে নিয়ে জানালেন নানা কথা। সেই সঙ্গে জানালেন দীর্ঘ পাঁচ বছর থেকেই স্বপ্ন দেখছেন কালো মানিককে বিক্রি করে নিজের মা-বাবাকে হজে পাঠাবেন। তিনি কালো মানিকের দাম হাঁকছেন ১১ লাখ টাকা।
সিলেটে কুরবানির ঈদে বিশাল আকৃতির ষাঁড় কালা মানিকের দিকে ক্রেতাদের নজরও পড়েছে বেশ। যদিও কালো মানিককে এখনো বাজারে নিয়ে আসেননি আহাদ। ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে ক্রেতারা আব্দুল আহাদের বাড়িতে ভিড় করছেন। লাইন লেগেছে উৎসুক জনতার। অনেকেই কালো মানিকের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুকে দিচ্ছেন। আহাদও এসব দেখে বেশ আনন্দ পাচ্ছেন। তবে ১১ লাখ নয়, নিজের পছন্দমতো মূল্য পেলেই কালো মানিককে বিক্রি করে দেবেন তিনি।
আহাদ বলেন, অনেকেই আসছেন, দরদাম করছেন। তবে কাক্সিক্ষত মূল্য পেলেই বিক্রি করে দেব। কারণ আমার একমাত্র স্বপ্ন এটি বিক্রি করে মা-বাবাকে হজে পাঠাব। বাজারে না নিয়ে বাড়িতেই বিক্রি করে দিতে চান আহাদ। কারণ কুরবানির হাটে এতবড় ষাঁড় নিয়ে যাওয়াটাও একটা ঝামেলা বলে মনে করেন তিনি। ভোরের কাগজকে আহাদ জানান, শাহিওয়াল জাতের ষাঁড়টি লম্বায় ৯ ফুট, উচ্চতায় প্রায় ৬ ফুট। ওজন হবে ২০ মণ ওজনেরও বেশি।
কালো মানিক নাম রাখার কারণ জানতে চাইলে আহাদ বলেন, ষাঁড়টি দেখতে কালো। তাই আমি আদর করে কালা মানিক নাম রেখেছি। তিনি আরো বলেন, ষাঁড়টি মোটাতাজাকরণে কোনো ওষুধ, ইনজেকশন কিছুই ব্যবহার করা হয়নি। প্রাকৃতিক উপায়েই তাকে বড় করা হয়েছে। দিনে দুই বার গোসল করানো হয় কালা মানিককে। সার্বক্ষণিক চলে ফ্যান। এর খাদ্য তালিকায় থাকে সবুজ ঘাস, খড়, ভুট্টা, ভূসি, সরিষার খৈল, ধানের কুড়া, পাকা বিভিন্ন ফল ও লবণ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়