ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি : নারী ইউএনওকে নিয়ে অরুচিকর ও কটূক্তি করায় ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাব্বুল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুমকে নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান কটূক্তি, কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর এবং নারীর ক্ষমতায়নকে অবমূল্যায়নকর বক্তব্য দেয়ার কারণে নোটিস দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ উপজেলা শাখা-১ এর উপসচিব ড. মাসুরা বেগম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেয়া হয়। বক্তব্য প্রদানের অভিযোগটি অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের শামিল হওয়ায় পরবর্তী সময়ে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
উলেখ্য, গত ১৯ জুন বিকালে মেডিকেল মোড়ে ভোলাহাট উপজেলা যুবলীগের ডাকে শান্তি সমাবেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসসুমকে ঈদের পর গামছা পরিয়ে বিদায় করার হুঁশিয়ারি দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বুল হোসেন বলেন, আমাকে বরখাস্ত করার জন্য উৎপাত চলছে। আমার উপজেলা পরিষদের কর্মচারীদের বেতন টিএডিএ দেওয়া হচ্ছে না, আমার ড্রাইভারের ওভারটাইম দেওয়া হচ্ছে না। শুধু জামায়াত-বিএনপি নয়, প্রশাসনে বসে শেখ হাসিনার নাম ভাঙিয়ে যারা চলছে তাদের সঙ্গে বর্তমান ইউএনও যড়যন্ত্রে যুক্ত। তিনি ইউএনওকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ঈদের পরে ইউএনও উম্মে তাবাসসুমকে গামছা পরিয়ে এখান থেকে বিদায় করা হবে। দাঁতভাঙা জবাব কেউ দেখেনি, ঈদের পরে আসল রূপ দেখতে পাবে। তার এ বক্তব্যের একটি ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।