সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিংগাইরের কালিগঙ্গা নদীতে কচুরিপানা আটকে যাওয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নদীপথে যাতায়াতকারী মানুষ।
গত বৃহস্পতিবার উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় জামশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী কামরুজ্জামান বিষয়টি তুলে ধরলে উপজেলা প্রশাসন আমলে নিয়ে অপসারণের কাজ শুরু করে। সবশেষ গতকাল শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কচুরিপানা আপসারণের কাজ চলছিল।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে পূর্ব-পশ্চিমে বয়ে যাওয়া স্থানীয়রাসহ দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের লোকজনের নদীপথে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের অন?্যতম নৌপথ কালিগঙ্গা নদী। এ নদীর জামশা ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে কচুরিপনার এমন ভয়াবহ জটের সৃষ্টি হওয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে কচুরিপানা অপসারণে স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম। স্থ’ানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ আগে পানির সঙ্গে পশ্চিমের উজান থেকে নেমে আসা কচুরিপানা জামশা ব্রিজের পিলারে আটকে যায়। নদীতে প্রায় এক কিলোমিটার জায়গাজুড়ে পর্যায়ক্রমে এ কচুরিপানা স্তরে স্তরে জমা হয়ে প্রায় তিন ফুট স্তূপে পরিণত হয়েছে। স্তূপে এতটাই শক্ত হয়েছে যে এতে নদীতে নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। আটকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে মালবাহী কয়েকটি ট্রলার, বাল্কহেড ও ভাসমান বাঁশের চালা। গত বৃহস্পতিবার বিকালে কচুরিপানা অপসারণে ফায়ার সার্ভিসের টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন- সিংগাইর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিপন দেবনাথ। কচুরিপানা অপসারণের কাজে ফায়ার সার্ভিসের টিম এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে তারা নিজেরাও সরাসরি অংশ নেন। গতকাল শুক্রবারও চলে কচুরিপনা অপসারণের কাজ।
উপজেলা নির্বাহী অফি দিপন দেবনাথ বলেন, বাল্কহেড নিয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে করে কচুরিপানা অপসারণে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি শিগগিরই নৌযান চলাচল স্বাভাবিক করতে পারব।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।