শিশুশ্রম নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান

আগের সংবাদ

ভারত-আমেরিকার বৈচিত্র্যময় অংশীদারত্ব গড়ার প্রত্যয় : হোয়াইট হাউসে মোদি-বাইডেন বৈঠক শেষে যৌথ ঘোষণা

পরের সংবাদ

কেশবপুরের হাটে পর্যাপ্ত দেশি পশু

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২৩, ২০২৩ , ১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) থেকে : কেশবপুর উপজেলায় এবার প্রচুর পরিমাণে কুরবানির পশু উৎপাদন হয়েছে। ইতোমধ্যে হাটে উঠতে শুরু করেছে পশু। সরবরাহ পর্যাপ্ত হলেও দাম বেশি হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে অনেক কম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় কুরবানিযোগ্য গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়া রয়েছে ১০ হাজার ৩৫৯টি। এর মধ্যে গরু ৩ হাজার ৪৬২টি ও ছাগল-ভেড়া ৬ হাজার ৮৯৭টি।
ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়দিন বাকি। গত সোমবার ছিল কুরবানি উপলক্ষে সবচেয়ে বড় পশুর হাট। হাট পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, গরু-ছাগল প্রচুর পরিমাণে উঠেছে।
নাম প্রকাশ না করে এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, পশুর হাটে স্থানীয় জাতের গরু-ছাগলের সরবরাহ সন্তোষজনক হলেও দাম বেশি হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে কম। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে প্রচুর গরু আসতে দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় গরু আসা বন্ধ না হলে দেশীয় খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বলছেন তিনি।
খামারি কামাল হোসেন বলেন, দেশীয় গরুর খামারিরা ভারতীয় গরু আমদানির আতঙ্কে রয়েছে। যদি চোরাই পথে গরু আসা বন্ধ না হয় তাহলে দেশীয় গরুর খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কেশবপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ অলোকেশ কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলায় ছোটবড় অনেক খামারি রয়েছেন। তারা যদি পশুর উপযুক্ত মূল্য না পায় তাহলে গরু-ছাগল পালনের উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে।
কেশবপুর পৌর শহরের সবচেয়ে বড় পশুর হাটের ইজারাদার ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অনেক চড়ামূল্যে পশুর হাট ইজারা নিয়েছি। কুরবানি উপলক্ষে পশুর সরবরাহও ভালো। কিন্তু বিক্রি খুব কম হচ্ছে।
যদি ভারতীয় গরু আসা বন্ধ না হয় এবং বিভিন্ন শহরের ব্যবসায়ীরা আমাদের হাটে কুরবানির গরু-ছাগল কিনতে না আসে তাহলে বড়ো ক্ষতি হবে। পশুর হাটে নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়