পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

দুই কি.মি. সড়কের কার্পেটিং শেষ হয়নি ৭ বছরেও : ৪০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অধীর রাজবংশী, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) থেকে : শ্রীনগরে বিবন্দী-পাঁচলদিয়া-কাজীপাড়া সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হয়নি সাত বছরেও। উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বিবন্দী-পাঁচলদিয়া হয়ে কাজীপাড়া পর্যন্ত এলজিইডির প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং করার নামে খোঁড়াখুঁড়ি করে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে ওই এলাকার বিবন্দী, পাঁচলদিয়া, মুসলিমপাড়া, জুরাসার, বনগাঁও, রানা, সিন্দুরদী, দত্তগাঁও, টুনিয়ামান্দ্রা ও বাগবাড়ি গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অপরদিকে বেহাল রাস্তায় উৎপদিত পণ্য বাজারজাত ও সংরক্ষণে প্রান্তিক কৃষকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করেও উৎপাদিত ফসল বহন করতে প্রয়োজনীয় পরিবহন আনা যাচ্ছে না। রাস্তা খারাপের কারণে কৃষকের বিক্রীত আলু ও ধানের বস্তাপ্রতি ৬০-৮০ টাকা কম দিচ্ছেন বেপারিরা। এছাড়া অসুস্থ রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে আনা-নেয়ার ক্ষেত্রেও চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্বজনরা। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয়রা বলছেন, রহস্যজনক কারণে সড়কের কাজ বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। বিবন্দী-পাঁচলদিয়া সড়কটি পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার কাজীপাড়া পর্যন্ত মালিরঅঙ্ক সড়কের সংযোগ সড়ক হওয়ায় এ এলাকার জন্য যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এটি। তাই হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে বিবন্দী-পাঁচলদিয়া সড়কে। ঠিকাদার মিজান ২০১৮ সালের দিকে সড়কটির সংস্কার কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করলেও এ পর্যন্ত সড়কের কার্পেটিং সম্পন্ন করতে পারেননি। প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের কোথাও ইটের খোয়া ফেলে রাখা হলেও কোনো কোনো স্থানে বক্স করে রাখা হয়েছে। এতে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি মানুষের পায়ে হেঁটে চলাফেরা মুশকিল হয়ে পড়েছে। সড়কজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইটের খোয়া ও উঁচু-নিচু ঢেউ খেলানো সড়কে অটোরিকশা কিংবা মোটরসাইকেল চলাচলেও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সড়কের এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটেই পাড়ি দিতে হচ্ছে তাদের। সংশ্লিষ্টদের সঠিক তদারকির অভাবে নিময় অনুসারে সড়কের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সড়টির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম মিন্টু বলেন, এর আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে উপজেলা এলজিইডি অফিসে একাধিকবার কাজের তাগিদ দেয়া হয়েছে। সড়কটি কাজের নামে এভাবে ফেলে রাখায় শিশু, বৃদ্ধসহ অসংখ্য পথচারী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। প্রায় ৭ বছর ধরে ঠিকাদার সড়কের কাজ কেন ফেলে রাখছেন এর কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।
ঠিকাদার মো. মিজান শেখের কাছে এ বিষয়ে জানতে মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. মহিফুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার মিজানকে কাজের জন্য নোটিস দেয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সড়কের কাজ শুরু না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়