পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

চাহিদার তুলনায় মজুত বেশি : সাতক্ষীরায় কুরবানির পশুর দাম নিয়ে শঙ্কা খামারিদের

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মসিউর রহমান ফিরোজ, সাতক্ষীরা থেকে : সাতক্ষীরার গো-খামারিরা এবার আশানুরূপ লাভ না পাওয়ার শঙ্কা করছেন। আসন্ন কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে তারা ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮টি পশু প্রস্তুত করেছেন। জেলার চাহিদার চেয়েও তা ৩৪ হাজার ৫৬০টি বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে এবার অবৈধভাবে কোনো গরু না আসায় স্থানীয় খামারিরা কিছুটা লাভবান হওয়ার আশা করলেও নতুন শঙ্কা জেগেছে গোখাদ্যের বাড়তি দাম।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সাতক্ষীরায় এ বছর ৯ হাজার ৯২৬ জন খামারি কুরবানির জন্য মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮টি পশু প্রস্তুত করেছেন। তবে জেলায় মোট পশুর চাহিদা ৮০ হাজার ৪৩৮টি। অর্থাৎ ৩৪ হাজার ৫৬০টি পশু অতিরিক্ত থেকে যেতে পারে যা অন্য জেলায় পাঠানো যাবে।
সূত্র আরো জানায়, অন্যবারের তুলনায় এবার লাভ কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন খামারিরা। কারণ গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। যারা শহরাঞ্চলে গরু পালন করেন তারা পুরোটাই বাজার থেকে কেনা খাবারের ওপর নির্ভরশীল। এর ফলে একটি গরু পালনে যে খরচ হয় তা বাদ দিয়ে সামান্য লাভ থাকবে তাদের।
সাতক্ষীরা সদরসহ অন্যান্য উপজেলার খামারি তহিদুর রহমান, জয়দেব, আবেদিন, আব্দুল কাদেরসহ অনেকে জানান, ছোট বাচ্চা গরু কিনতে হয়েছে বেশি দাম দিয়ে। গোখাদ্যের দাম অনেক বেশি হওয়ায় একটি গরুর পেছনে যে অর্থ খরচ করা হচ্ছে, বিক্রি করে সেই তুলনায় লাভ করা যাচ্ছে না। ১ লাখ টাকা মূল্যের একটি গরু বর্তমানে ক্রেতারা ৬০-৬৫ হাজার টাকায় কিনতে চাচ্ছেন। তবে কুরবানির বাজার এখনো শুরু না হওয়ায় ক্রেতার সংখ্যাও একটু কম।
খামারে কুরবানির জন্য গরু কিনতে আসা আওয়াল জানান, হাটের গরুর রোগ-বালাই হতে পারে, তাই খামারে এসেছি। তবে দাম অনেক বেশি। গত বছর যে গরুর দাম ছিল ৭০ হাজার টাকা, সেই ধরনের গরু এ বছর দাম চাচ্ছে ৯০ হাজার টাকা।
খামারিরা আরো বলেন, এ বছর ভারত থেকে গরু না আসায় কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে ভালো দাম পাওয়া যেতে পারে। গোখাদ্যের দাম হাতের নাগালে থাকলে দেশে আরো খামারি বাড়বে বলে মনে করেন তারা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ বলেন, জেলায় এবার চাহিদার তুলনায় কুরবানির পশুর মজুত অনেক বেশি। তবে দাম অন্যবারের তুলনায় একটু বেশি চাচ্ছেন খামারিরা। গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় তাদের খরচ বেড়েছে।
তিনি বলেন, গোখাদ্যের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। অন্যান্য জেলার মতো সাতক্ষীরাতেও ‘নেপিয়ার ঘাস’ চাষের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
আগামীতে খামারিদের গরুর খাবার তৈরি ও ঘাষ চাষের প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকবে যেন খামারিরা সহজে বাড়িতে গরুর খাবারের চাহিদা মেটাতে পারেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়