পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

খাল উদ্ধার করায় ২৭ জনের বিরুদ্ধে দখলদারের মামলা

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে দখলদারদের কবল থেকে সরকারি খাল উদ্ধার করে উন্মুক্ত করায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত রবিবার সবুজ খলিফা নামে দখলদার সিন্ডিকেটচক্রের একজন বাদী হয়ে পটুয়াখালী দ্রুত বিচার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাক্তার জহির উদ্দিন আহমেদ, চরমোন্তাজ ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল খাঁন এবং রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ ও বাংলা টিভির প্রতিনিধি রফিকুল ইসলামসহ এলাকার ২৭ জনকে। তবে হয়রানিমূলক এ মামলা দায়েরের পরপরই ফুঁসে ওঠে এলাকাবাসী। বুধবার দুপুরে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ স্লুইচ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন হাজারো মানুষ। এ সময় বক্তারা বলেন, সবুজ খলিফা ও শহিদ খন্দকারসহ কয়েকজন দখলদার মিলে গত এক যুগ ধরে কাশেম খার দৌড় নামে সরকারি খালটি দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল। যার কারণে স্থানীয় জেলেরা মাছ শিকার করতে পারছিল না।
শত শত জেলে বেকার হয়ে পড়েছিল।
পরে চলতি বছর খাল দখলমুক্ত করার দাবিতে এলাকাবাসী মিলে উপজেলা পরিষদে একটি লিখত অভিযোগ দেন।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে খাল উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা পরিষদ। এরপর গত ৮ জুন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহমেদ খাল উদ্ধার করে সবার মাছ ধরার জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করেন। সেই সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশও হয়েছিল। এরপর থেকে এলাকার জেলেরা খালে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
কিন্তু এরই মধ্যে খালটি পুনরায় দখলে নিতে তৎপরতা শুরু করে দখলবাজরা। এরই অংশ হিসেবে তারা উপজেলা চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সাংবাদিকের নামে হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে। অবিলম্বে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা দীর্ঘদিনের দখলকৃত খাল উন্মুক্ত ঘোষণা করি। এ কারণে দখলদাররা আমাকে প্রধান আসামি করে ইউপি সদস্য ও সাংবাদিকসহ ২৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। আসলে এটা তো আমাদের ব্যক্তিগত কাজ না। এটা সরকারি কাজ ছিল। সরকারি কাজ করতে গিয়ে মামলা যেহেতু হয়েছে, সেহেতু উপজেলা পরিষদের সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়