পাগলায় মানববন্ধন : মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের দাবি

আগের সংবাদ

স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর

পরের সংবাদ

কুমিল্লায় ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের অধিকার আদায়ে মানববন্ধন

প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম ফিরোজ মিয়া, কুমিল্লা থেকে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত নতুন প্রজ্ঞাপনের ষষ্ঠ অধ্যায়ের ২০নং অনুচ্ছেদে উল্লিখিত নীতিমালা বাতিল করে ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নের দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ফিশারিজ এক্সিকিউটিভ এসোসিয়েশন কুমিল্লা শাখার উদ্যোগে জেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি এম কে বর্মণ, সহসভাপতি মো. নাহিদুজ্জামান, মাহীউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার, উপদেষ্টা আশরাফুজ্জামান ও মৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রিধারী বিভিন্ন কোম্পানিতে কর্মরত এক্সিকিউটিভরা।
বক্তারা বলেন, দেশের মোট ১৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে মৎস্যবিজ্ঞান বিষয়ে চার বছরমেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা গ্র্যাজুয়েটরা দেশের মৎস্য সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত থেকে মৎস্যচাষি ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঠিক পরামর্শ ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৎস্যবান্ধব নীতির সঠিক প্রয়োগ এবং মৎস্য গ্র্যাজুয়েটদের নিরলস পরিশ্রমে যখন মৎস্য খাত দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২৩ প্রণয়ন হতে যাচ্ছে- যা অবশ্যই একটি যুগপোযোগী পদক্ষেপ।
কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ষষ্ঠ অধ্যায়ের বিধি ২০(১) এবং ২০(৪) মৎস্য সেক্টরের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যা এই সেক্টরে নিয়োজিত সবাইকে চরম হতাশায় নিমজ্জিত করেছে। মাছের রোগ নিরাময়ে নির্দেশনা ও ব্যবস্থাপত্র প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পড়াশুনা করা প্রয়োজন, যা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটরা পড়ে থাকেন। এছাড়া ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিমাল হেলথ-অ্যাকোয়াটিক অ্যানিমাল হেলথ কোড এর ৬.২.৭ ধারায় স্পষ্টত অ্যাকোয়াটিক অ্যানিমাল হেলথ প্রফেশনালসরা ব্যবস্থাপত্র দিতে পারবেন বলেও উল্লেখ আছে। কিন্তু খসড়া বিধিমালায় তা সূ²ভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। তারা বিধি দুটি সংশোধন করা হলে মৎস্য সেক্টর আরো সমৃদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং বিধি দুটি সংশোধনের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
বিধিমালার ষষ্ঠ অধ্যায়ের ২০(১)-এর সংশোধনের প্রস্তাবনায় তারা উল্লেখ করেন, কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ মৎস্যচাষে ব্যবহৃত ক্ষতিকর নয় এরূপ রাসায়নিক পদার্থের তালিকা এবং রোগাক্রান্ত মৎস্যের চিকিৎসার্থে ব্যবহৃত হতে পারে এরূপ ওষুধের তালিকা মহাপরিচালক, মৎস্য অধিদপ্তর এবং মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সমন্বিত সহযোগিতায় প্রস্তুত করে পৃথকভাবে সরকারের অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন।
বক্তারা অনতিবিলম্বে ফিশারিজ কাউন্সিল গঠন করার ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য দাবি জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়