ঠিকানা নিয়ে ৩২ বার তদন্তে উষ্মা হাইকোর্টের

আগের সংবাদ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ দিয়ে ক্ষমতায় বসবে না আ.লীগ > সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : অন্য দেশের সঙ্গেও অর্থ বিনিময়ের সুযোগে ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

হাটের জায়গার অবৈধ ১০ দখলদার কারাগারে

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোর শহরতলীর দত্তপাড়া হাটের জায়গা অবৈধ দখলকারী ১০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন দখলদাররা। এসময় অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আলম তাদের জামিন না মঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অবৈধ দখলদাররা হলো- সদর উপজেলার গোয়ালডাঙ্গার মোতালেব হোসেন, জয়নাল আলী, নূর আলম, বড়হরিশপুর এলাকার হোসেন আলী, আকরাম হোসেন, মোকরামপুর এলাকার শরৎ কুমার, দত্তপাড়া গ্রামের বিকচাঁন আলী, মুক্তা হোসেন, অরুণ মিয়া, আবুল কাশেম।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নাটোর শহরতলীর দত্তপাড়ায় সরকারি ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত হাটের নির্ধারিত ১২ শতক জায়গা দীর্ঘদিন ধরেই দখল নিয়ে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে প্রভাবশালীরা। প্রভাবশালীরা শুধু বাজার দখল করেই ক্ষান্ত হয়নি, সরকারি জায়গা লাখ লাখ টাকায় বেচাকেনাও করেছে তারা। এতে বসার জায়গা না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই মহাসড়কের পাশেই নিজেদের উৎপাদিত কাঁচামাল বিক্রি করেন কৃষকরা। এ নিয়ে ভোরের কাগজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে তা দেখে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অবৈধ দখলদারিত্বের বিষয়টি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেবার নির্দেশ দেন। পরে তদন্ত করে পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। এর আগে জেলা প্রশাসন থেকেও অবৈধ দখলদারদের স্থায়ী স্থাপনা সরিয়ে নিতে উচ্ছেদ নোটিশ দেয়া হয়। কিন্তু অবৈধ দখলদাররা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি।স্থানীয় কৃষক রেজাউল করিম গাজী, কাঁচামাল ব্যবসায়ী সেন্টু হোসেন জানান, বাজারের জায়গা হোসেন আলী, মোতালেব, শরৎ ও নূর আলম পাকা দোকান করে দখল করে রেখেছেন। এক-একজনের একাধিক পাকা দোকানঘর রয়েছে। এ ছাড়া আরো কয়েকজন জায়গা দখল করে অযথাই পরিত্যক্ত করে ফেলে রেখেছেন।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার কর্মযজ্ঞ চলে দত্তপাড়া বাজারে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে দখলকৃত স্থানে যে যার মতো গড়ে তুলেছে স্থায়ী স্থাপনা। কেউ কেউ হাটের জায়গায় স্থায়ী অবকাঠামো করে অযথাই ফেলে রেখেছে। দেড় থেকে দুই লাখ টাকায় চলে দখলদারিত্ব কেনাবেচা। কয়েক দিন আগেও আব্দুর রাজ্জাক নামে একজন দোকানদার ২ লাখ টাকায় আরেকজনের দখলকৃত জায়গা কিনেছেন। ফলে হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
দত্তপাড়া বাজার কমিটির সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, ‘অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছিলেন। এরপর প্রশাসন থেকে দখলকৃত স্থাপ
না চিহ্নিত করে লাল দাগ দিয়েছে। এর কিছুদিন পর সব অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ নোটিসও দিয়েছে প্রশাসন। উচ্ছেদ নোটিস পাওয়ার পরও কোনো তোয়াক্কা করেনি অবৈধ দখলদাররা। পরবর্তীতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অবৈধ দখলদারিত্বের বিষয়টি পিবিআইকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়