ঠিকানা নিয়ে ৩২ বার তদন্তে উষ্মা হাইকোর্টের

আগের সংবাদ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ দিয়ে ক্ষমতায় বসবে না আ.লীগ > সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : অন্য দেশের সঙ্গেও অর্থ বিনিময়ের সুযোগে ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

মির্জা ফখরুল : সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনগণের ভোট হবে না

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে ‘জনগণের ভোট হবে না’। এমন মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার আবারো ওইভাবে নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। আমরা জনগণের পক্ষ থেকে শুধু এটুকু বলতে চাই, জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চায়। এটা কখনই সম্ভব না বর্তমান শাসকগোষ্ঠী যদি ক্ষমতায় থাকে। সেই কারণে আমরা একটা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই। সেই নির্বাচনে যেন জনগণ ভোট দিতে পারে এবং তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে বিএনপির মিডিয়া সেলের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গুলশানের সিক্স সিজন হোটেলে মিডিয়া সেলের এক বছরের কার্যক্রম নিয়ে তথ্য চিত্র তুলে ধরা হয়। মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, এডভোকেট আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, ফরহাদ হালিম ডোনার, আবদুল হাই শিকদার, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মিডিয়া সেলের শাম্মী আখতার, মোর্শেদ হাসান খান, রুমিন ফারহানা, কাদের গনি চৌধুরী, ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, মীর মোহাম্মদ হেলাল, মওদুদ হোসেন আলমগীর, আলী মাহমুদ, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবীসহ পেশাজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ডেনমার্কসহ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকও ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকিপ্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সঙ্গে এ দেশের যারা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, যারা বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান সেসব রাজনৈতিক দলগুলো আমরা এক সঙ্গে হয়েছি, যুগপৎ আন্দোলন করছি। আমাদের লক্ষ্য একটিই, আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে চাই, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাই, মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
এখানে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে চাই একথাটা কখনোই মুখ্য নয়। মুখ্য হচ্ছে, মানুষের অধিকারকে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ১৯৭১ সালে যে স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, যে প্রতিশ্রæতি আমরা দিয়েছিলাম জনগণের সঙ্গে। আজকে সেজন্য এই মিডিয়া সেলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু আমাদের মেইন স্ট্রিম মিডিয়া তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না- এটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ, বিভিন্ন কৌশলে এ দেশে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণমাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন মিডিয়া, সংবাদপত্র-পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া, সাংবাদিক নির্যাতন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের কারাগারে প্রেরণ, সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত না হওয়াসহ সরকারের বিভিন্ন নিবর্তনমূলক তৎপরতা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়