ঠিকানা নিয়ে ৩২ বার তদন্তে উষ্মা হাইকোর্টের

আগের সংবাদ

সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ দিয়ে ক্ষমতায় বসবে না আ.লীগ > সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী : অন্য দেশের সঙ্গেও অর্থ বিনিময়ের সুযোগে ব্রিকসে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত

পরের সংবাদ

জার্মানিতে বই লিখে ব্যাপক সাড়া : গোলাম খায়েরের মৃৃত্যুতে সিংগাইরে শোকের মাতম

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাসুম বাদশাহ, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) থেকে : নিজ দেশের প্রত্যন্ত পল্লীর সাহিত্য কৃষ্টি কালচারকে জার্মান ভাষায় প্রকাশ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। জার্মানির স্যাটেলাইট চ্যানেল ও সেখানকার শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে হয়েছিলেন শিরোনাম। সেই বাংলাদেশি গোলাম খায়ের জার্মানি থেকে দেশে ফিরলেন প্রাণহীন দেহ নিয়ে। গত সোমবার দুপুরে সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ হাইস্কুলের মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। এর আগে গত রবিবার রাতে তার মরদেহ দেশে এসে পৌঁছায়। তার মৃত্যুতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম। গোলাম খায়ের দীর্ঘদিন লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত থাকার পর গত ১১ জুন সন্ধ্যায় জার্মানির ডটমন শহরে মারা যান।
গোলাম খায়ের সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের পশ্চিম ভাকুম গ্রামের মৃত সাহাবুদ্দিন আহমেদের ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গোলাম খায়ের সিএ ইন্টারমিডিয়েট কোর্স সম্পন্ন করে ২০০০ সালের আগস্ট মাসে পেন্টা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলনের সঙ্গে তার কোম্পানির পরিচালক হিসেবে জার্মানিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় অংশ নেন। এরপর দেশে না ফিরে জার্মানিতেই রয়ে যান তিনি। সেখানে গোলাপ ফুলের ব্যবসা শুরু করেন। ভিসার মেয়াদ না থাকায় জার্মান পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। কারাভোগ অবস্থায় দক্ষ হয়ে ওঠেন জার্মান ভাষা ওপর। জেল থেকেই বাংলাদেশে থাকা বড় ভাইয়ের কাছে মাতৃভাষায় বৃহদাকারের চিঠি লেখেন। চিঠিটি জেল কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশে পোস্ট করার অনুরোধ করা হলে সেখানে তাকে জার্মান ভাষায় ভাষান্তর করতে বলা হয়। তিনি সেটাকে জার্মান ভাষায় প্রকাশ করলে ওই দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় আর্টিকেল আকারে ফলাও করে ছাপা হয় এবং পরবর্তীতে সেটা বই আকারেও প্রকাশিত হয়। এতে গোলাম খায়ের একজন সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৩ সালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে প্রথম বাংলাদেশে আসেন। এর মধ্যে গোলাম খায়েরের জার্মান ভাষায় আরো ২টি বই প্রকাশ পায়। তার জীবনের আত্মকাহিনী নিয়ে ‘ডার রোজভার কেউফার’ বইটি আলোড়ন সৃষ্টি করে। ২০১২ সালে জার্মানির সাংবাদিকরা বাংলাদেশের ভাকুম গ্রামে এসে গোলাম খায়েরের ওপর প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেন- যা ওই দেশের বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হয় এবং তাকে নিয়ে একাধিক দৈনিক পত্রিকায় ফিচার প্রকাশিত হয়।
গোলাম খায়েরের বৃদ্ধ মা পুত্রবিয়োগে পাগলপ্রায়। ৯ ভাইবোনের মধ্যে গোলাম খায়ের ছিলেন ৬ নম্বর। কীর্তিমানের পরিবারসহ এলাকায় বইছে শোকের মাতম। তার জানাজায় সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলনসহ সর্বস্তরের লোকজন অংশ নেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়