যাত্রী কল্যাণ সমিতি : ২৭ জুন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে নজীরবিহীন নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

ল²ীপুরে সীমানা নিয়ে জটিলতা : ৯টি ইউপিতে নির্বাচন হয় না ১৩ বছর, ভোগান্তিতে মানুষ

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. কামাল হোসেন, ল²ীপুর থেকে : একযুগেরও বেশি সময় ধরে ভোট হচ্ছে না ল²ীপুরের ৯টি ইউনিয়নে। সীমানা নির্ধারণ ও মামলা জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে এসব ইউনিয়নে বন্ধ রয়েছে নির্বাচন। এতে করে ভোটাধিকার প্রয়োগ ও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত কয়েক লাখ মানুষ। সমস্যার সমাধান করে ভোটাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবি এলাকাবাসীর। তবে জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, সীমানা জটিলতার কারণে নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। নাগরিক সেবায় নেই অসুবিধা। কবে নাগাদ এ সমস্যার সমাধান হবে তার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি জেলা নির্বাচন অফিস।
ল²ীপুর সদর উপজেলার ৬টি ও কমলনগর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদে একটানা ১৩ বছর ধরে কোনো ভোট হয়নি। এর মধ্যে ল²ীপুর পৌরসভার সঙ্গে সীমানা নিয়ে বিরোধ ছিল সদর উপজেলার চররুহিতা, দালাল বাজার, দক্ষিণ হামছাদী, বাংগাখাঁ ও লাহারকান্দিসহ ৫টি ইউনিয়নের। অথচ সেই পৌরসভার ভোট হয়েছে গত বছরের ২৮ নভেম্বর। একই উপজেলার মান্দারী ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের মধ্যে সীমানা বিরোধ ছিল। সেখানেও ২ ডিসেম্বর মান্দারী ইউনিয়নে ভোট হলেও তেওয়ারীগঞ্জের ভোট হয়নি। কিন্তু সীমানা জটিলতা নিয়ে ভোট বন্ধ এসব ইউনিয়নের।
এছাড়া কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি, সাহেবেরহাট ও পাটওয়ারীর হাট- এই তিন ইউনিয়ন পরিষদের ভোট বন্ধ রয়েছে একযুগের বেশি সময় ধরে। এই তিনটি ইউনিয়নের বেশির ভাগ অংশ মেঘনায় বিলীন হয়ে যাওয়ায় প্রতিটি ওয়ার্ডের নতুন সীমানা নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। তাই ভোটও হচ্ছে না। কবে ভোট হবে তাও নিশ্চিত নয় এসব এলাকার মানুষের কাছে। দীর্ঘ সময় ধরে ভোট না হওয়ায় এসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা একক আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে। আবার কোনোটিতে জনপ্রতিনিধির মৃত্যুর পর নামমাত্র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকলেও ঠিকমতো আসেন না পরিষদে। ফলে এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মকাণ্ডে পদে পদে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষকে। এসব ইউনিয়ন পরিষদে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান তারা। তিনটি ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। কিন্তু ওয়ার্ড বিন্যাস করে ভোট দিতে পারলেও অন্য কারণে ভোট হচ্ছে না। যখন সমস্যা সমাধান করার পথে এগোয়, তখনই গোপনে জটিলতা বাড়িয়ে ভোট বন্ধ রাখা হয়। এসব কারণে বছরের পর বছর নতুন নেতৃত্ব আসছে না। সীমানা নির্ধারণ ও মামলা জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে ভোট হচ্ছে না। এতে করে এলাকাবাসী ভোটাধিকার প্রয়োগ ও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। কবে ভোট হবে তাও নিশ্চিত নয়। সমস্যা সমাধান করে ভোটাধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবি এলাকাবাসীর।
এসব এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন তো হচ্ছেই না, এমনকি সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন নিতেও ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিভিন্ন উৎসব ও দুর্যোগের সময় অন্য ইউনিয়নের মতো তারা সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা থেকেও বঞ্চিত হন। নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বার না থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তারা। জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, সীমানা জটিলতার কারণে নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। তবে নাগরিক সেবায় নেই অসুবিধা। জেলা নির্বাচন অফিস বলছে, সীমানা জটিলতা কাটিয়ে ও ওয়ার্ড বিন্যাস করে নির্বাচন করতে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কবে নাগাদ হতে পারে এসব ইউনিয়নের নির্বাচন তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না এ অফিসের কর্মকর্তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়