যাত্রী কল্যাণ সমিতি : ২৭ জুন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে নজীরবিহীন নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে রাস্তা সংস্কার : ১০ দিনেই উঠে যাচ্ছে পাথর

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : খানাখন্দে ভরা রাস্তার পুরনো ইট দিয়েই চলে সংস্কারের কাজ। গর্ত আর উঁচুনিচু জায়গাগুলোও ঠিক করা হয়নি। ঠিকমতো রোলারও করা হয়নি। পাথরের সঙ্গে নেই পিচের সম্পর্ক। হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে পাথর। সওজের ৮১ লাখ টাকা বরাদ্দে সস্কার করা এবরোথেবরো রাস্তায় চালকরা পড়ছেন বিপাকে। নি¤œমানের সংস্কার কাজের ফলে ১০ দিনেই এমন নাজুক হয়ে পড়েছে রাস্তাটি।
এভাবেই অভিযোগ করেছেন গুরুদাসপুরের খলিফাপাড়া থেকে বিলদহ পর্যন্ত ৬ কি.মি. রাস্তার দুই ধারে বসবাসরত মানুষ ও যানবাহনের চালকরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে নির্মাণের পরই রাস্তাটির পিচ উঠে যাচ্ছে। রাস্তা নির্মাণের ১০ দিনের মধ্যেই এমন নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটি ১২ ফুট প্রশস্ত হওয়ার কথা থাকলেও কোথাও কোথাও ৮ বা ১০ ফুট করা হয়েছে।
নাটোর জেলা সড়ক ও জনপথ (সওজ) অফিস সূত্রে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খলিফাপাড়া বটতলা থেকে সাবগাড়ি আয়নার মায়ের ডোয়ার পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার করা হয়। ৮১ লাখ টাকা বরাদ্দে কাজটি পান নওগাঁর আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড। পরবর্তী সময়ে আমিনুল হকের কাছ থেকে কাজটি কিনে নেন নাটোরের জেমস নামের একজন ঠিকাদার। তিনিই কাজটি দেখাশোনা করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে রাস্তাটির কাজ শুরু হয়। ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে কাজটি শেষ হয়। রাস্তাাটিতে নিম্নমানের ইট, বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া অপরিষ্কার রাস্তায় পিচ দেয়ায় এবং সেগুলো ভালোভাবে ডেজারআপ না করায় সহজেই উঠে যাচ্ছে। হাত দিয়েই তুলে ফেলা যাচ্ছে পাথরগুলো।
সরজমিন ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয়রা দুঃখ প্রকাশ করছেন। এ সময় তারা হাত দিয়ে পিচ উঠে যাওয়ার দৃশ্য দেখান। রাস্তাটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তারা। দুর্গাপুর র‌্যাবারড্যাম এলাকার লিটন মাস্টার, জনপ্রতিনিধি শরিফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বলেন, রাস্তার কাজটি অত্যান্ত নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে করা হয়েছে। যার কারণে পিচ দেয়ার দশ দিনের মাথায় উঠে যাচ্ছে। ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনের চাকার সঙ্গে পিচ উঠে যাচ্ছে। রাস্তার মাঝখানে উঁচুনিচু অসংখ্য গর্ত অসমতল রয়েছে। দুই ধারেও ঠিকমতো কাজ করা হয়নি। বৃষ্টি শুরু হলে ১০ দিনও এ রাস্তা টিকবে না।
অটোভ্যান চালক রিপন ও দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিক হোসেন বলেন, এই রাস্তায় আমাদের নিয়মিত চলাচল করতে হয়। কিন্তু এই নি¤œমানের সংস্কারের ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় শিকার হচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে ফোন করলে ঠিকাদার জেমস চড়াও হয়ে বলেন, আপনারা কি প্রকৌশলী, আপনারা কাজের কী বোঝেন? আমি কাজ করেছি সেটা কর্র্তৃপক্ষ দেখবেন। আপনারা দেখার কেউ না।
নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) মো. কামরুল হাসান সরকার বলেন, রাস্তার পিচ জমাট বাঁধতে একটু সময় লাগে। তবে অভিযোগ ওঠায় রাস্তাটি দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়