যাত্রী কল্যাণ সমিতি : ২৭ জুন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে নজীরবিহীন নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

দলবদ্ধভাবে ভাসমান খাঁচায় মাছচাষ

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাইনুল হক সান্টু, চারঘাট (রাজশাহী) থেকে : চারঘাটে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ। উপজেলার পদ্মা নদীতে মৎস্য চাষিরা দলবদ্ধভাবে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে উপযোগী আকারে খাঁচা স্থাপন করে বাণিজ্যিকভাবে মাছ উৎপাদন করছেন।
মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প, রাজশাহী বিভাগের সহায়তায় সিনিয়র উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের টাঙ্গনগ্রামে পদ্মা নদীতে এই পদ্ধতিতে মাছচাষ শুরু করে একদল মৎস্যচাষি। দশ জন জেলের একটি সুফলভোগী দলকে এই প্রকল্পের আওতায় ১০টি খাঁচার জাল, দড়ি, বাঁশ, ড্রাম, জিআই পাইপ দিয়ে খাঁচা স্থাপনসহ পোনা ও খাদ্য ক্রয়ের জন্য প্রায় ৪ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করলে পুকুর কিংবা দীঘির মতো বড় জলাশয়ের প্রয়োজন হয় না। প্রবহমান নদীর পানিকে ব্যবহার করেও এ পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদন করা সম্ভব। মাছের বর্জ্য প্রবহমান পানির সঙ্গে অপসারিত হয় তাই পানি কিংবা পরিবেশের দূষণ হয় না। নদীর পানি প্রবহমান থাকায় প্রতিনিয়ত খাঁচার অভ্যন্তরের পানি পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে পুকুরের চেয়ে অধিক ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায়।
ইউসুফপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম মাখন বলেন, এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে নতুন উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তার পাশাপাশি পুকুর খননের হাত থেকে উপজেলার কৃষি জমিগুলো রক্ষা পাবে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউসুফপুর ইউনিয়নের টাঙ্গনগ্রাম পূর্বপাড়া সংলগ্ন পদ্মা নদীতে ১০ জনের একদল মৎস্য চাষি সমবায় ভিত্তিতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ করছেন। পদ্মা নদীর প্রায় ২০০ বর্গফুট এলাকায় ১০টি ভাসমান খাঁচায় মানসম্পন্ন তেলাপিয়া মাছ চাষ করছেন। ১০টি খাঁচায় ইতোমধ্যে কেজিপ্রতি ৬০ পিচ হিসেবে ১০ হাজার মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে। বর্তমানে একেকটি মাছের ওজন প্রায় দুইশ গ্রাম থেকে পাঁচশ গ্রাম। আগামী এক মাসের মধ্যে একেকটি মাছের ওজন প্রায় ৩০০-৪০০ গ্রাম হবে এবং উৎপাদিত মাছের বাজার মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকার সমান হবে বলে জানিয়েছেন টাঙ্গন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার ওয়ালিউল্লাহ মোল্লা বলেন, আমাদের দেশে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের ইতিহাস অনেক পুরনো। উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীর কিছু কিছু অংশে সারা বছর খাঁচায় মাছ চাষ করে মাছের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। নদীর কিনারায় বসবাসরত মৎস্য চাষিদের সংগঠিত করে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খাঁচায় উৎপাদিত মানসম্পন্ন তেলাপিয়া রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়