যাত্রী কল্যাণ সমিতি : ২৭ জুন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে নজীরবিহীন নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

কক্সবাজারের রামু : ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাপক প্রস্তুতি

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : রামুতে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। নেয়া হয়েছে নানান কর্মসূচি। এখন চলছে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মৌসুম। বর্ষায় এ রোগের পাদুর্ভাব বেশি হয়ে থাকে। “ম্যালেরিয়া নির্মূলের এখনই সময়- প্রয়োজন সঠিক বিনিয়োগ, উদ্ভাবন ও বাস্তবায়ন” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি টিম ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু সংক্রমণ এড়াতে মাঠপর্যায়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
কক্সবাজার জেলায় ম্যালেরিয়া সংক্রমিত এলাকার মধ্যে রামু অন্যতম। এ উপজেলাটি পার্বত্য এলাকা নাইক্ষ্যংছড়ির সঙ্গে লাগোয়া হওয়াতে এখানে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব একটু বেশি। যাতায়াত ব্যবস্থার তারতম্যের কারণে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অনেক রোগী রামুতে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। সে কারণে রামুতে ম্যালেরিয়া শনাক্তের হার জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে তুলনামূলক বেশি। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে ২০২২ সালে কক্সবাজার জেলায় শনাক্তকৃত ৮৩৭ জন ম্যালেরিয়া রোগীর মধ্যে রামু উপজেলার ছিল ২২৬ জন। যা জেলায় সর্বোচ্চ। গত বছর জেলায় এ রোগে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের দুজন রামু উপজেলার অধিবাসী। যার কারণে আগে ভাগে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া প্রতিবেদককে জানান, রামু উপজেলাটি বেশিভাগ এলাকা পাহাড়ি এবং পার্বত্য উপজেলা নাইক্ষ্যছড়ির সঙ্গে লাগোয়া হওয়ায় এখানে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ একটু বেশি। বিশেষ করে গর্জনিয়া ও কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন দুটোতে সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। এর কারণ হচ্ছে এ এলাকার মানুষগুলো খুবই অসচেতন। মশারি ব্যবহারে অব্যস্ত নই। এ দুই ইউনিয়নে আমাদের কার্যক্রম আরো জোরদার করা হয়েছে। বিনামূল্যে কীটনাশক যুক্ত মশারি বিতরণ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ১০ হাজার বিতরণ করা হয়েছে। আরো ১০ হাজারের মতো বিতরণ করা হবে। আমরা সবখানে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে সতর্ক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি। জ্বর আক্রান্ত রোগীকে স্বাস্থ্য কর্মীরা ঘরে গিয়ে সেবা প্রদানসহ সংক্রমিত রোগীকে বিলম্বিত না করে হাসপাতালে নিয়ে আসতে সহায়তা করছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত ম্যালেরিয়া সনাক্তকারী কিট। এ রোগের প্রাদুর্ভাব এড়াতে আমাদের একটি টিম মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব বিভাগে ২৪ ঘণ্টা এ রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা চালু রাখা হয়েছে। ভীত না হয়ে সচেতন হলেই ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই সবাইকে মশারি ব্যবহার, বাসাবাড়ির আঙিনা পরিষ্কারসহ যেখানে সেখানে পানি জমিয়ে না রাখার আহ্বান জানান এ কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়