যাত্রী কল্যাণ সমিতি : ২৭ জুন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি

আগের সংবাদ

রাজশাহীতে নজীরবিহীন নিরাপত্তা

পরের সংবাদ

ঈদের আগে কমতে পারে সয়াবিন তেলের দাম : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কুরবানি ঈদের আগে ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা কমানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ-ইউকে বিজনেস করিডোর লেগ্যাসি এন্ড দ্য ফিউচারবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কুরবানি ঈদের আগে আরেক দফা কমানো হতে পারে সয়াবিন তেলের দাম। মূলত, বিশ্ববাজারে দাম কমলে বাংলাদেশের বাজারে কী প্রভাব পড়বে; তার ওপর ভিত্তি করে দাম কমানো হবে। আমদানিনির্ভর হওয়ায় চিনির দাম কমানো যাচ্ছে না জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, বিশ্ববাজারে চিনির দাম বাড়তি। বাংলাদেশ ৯৯ শতাংশ চিনি আমদানি করে। মাত্র ১ শতাংশ চিনি দেশে উৎপাদিত হয়। আর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির কারণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের বাণিজ্যকে আরো জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে চুক্তি সই করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং দ্য হংকং এন্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (এইচএসবিসি)।
চুক্তির আওতায় যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বাজারভিত্তিক একটি সমীক্ষা পরিচালনা করবে আর্নস্ট এন্ড ইয়ং এবং কে এশিয়া। এই গবেষণার প্রাথমিক উদ্দেশ্য বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিদ্যমান বর্তমান দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা ও বিনিয়োগের উন্নয়ন।
এর আগে চলতি মাসের ১১ জুন প্রতি লিটার প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৯ টাকা কমিয়ে ১৬৭ টাকা ও পাম অয়েলের দাম ১৩৫ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে খুচরা পর্যায়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছিলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে ঈদের আগে তেলের দাম আরো কমানো যায় কিনা, সেটিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি আসন্ন ঈদের আগে আরেক দফা দাম কমানো সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মানুষদের মধ্যে রয়েছে এক চমৎকার আত্মিক সম্পর্ক। যদিও বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি গন্তব্য, বর্তমানে এই বাণিজ্যিক সম্পর্ক কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর সীমাবদ্ধ। আমি মনে করি, উভয় দেশের নীতি নির্ধারক এবং ব্যবসায়িক নেতাদের এই বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যকরণে একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। ক্রমবর্ধমান ব্যবসা, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়নে এই সমীক্ষা একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- এইচএসবিসি এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ অব স্টাফ ফিলিপ ফেলোয়েস; এবং অনলাইন যোগাযোগমাধ্যম জুমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
অনুষ্ঠানে পিডব্লিউসি বাংলাদেশের কান্ট্রি ক্লায়েন্টস এন্ড মার্কেট লিড মামুন রশিদের সঞ্চালনায় ‘আনলকিং নিউ অপরচুনিটিজ ফর বাংলাদেশ এন্ড ইউকে’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় মন্তব্য ও মতবিনিময় করেন কে এশিয়ার ডিরেক্টর ফিলিপ চৌধুরী, নেক্সট সোর্সিং লিমিটেডের সহযোগী পরিচালক শাহুল স্যালি এবং এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটালের চেয়ারম্যান ইফতি ইসলাম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়