প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপি নেতারা সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমেরিকার দূতাবাসে যায় নালিশ করতে। এ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতিসংঘে গিয়ে মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলতে না পেরে তৃতীয় সারির লোকদের সঙ্গে কথা বলে এসেছেন মির্জা ফখরুল। আর আওয়ামী লীগ দাওয়াত পেয়েই দূতাবাসে যায়। দেশের বিরুদ্ধে নালিশ করব এ রাজনীতি আমরা করি না। এ সময় তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ একটা নির্বাচনে পরাজিত হয়ে প্রমাণ করতে হবে বিএনপির কাছে যে, নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালুর বিষয়ে এক ব্র্যান্ডিং সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহিদি ইচিগুচি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শরফুদ্দীন আহমেদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী অক্টোবরে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ পর্যন্ত উদ্বোধন করবেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে সিটি করপোরেশনের কিছু কিছু জায়গায় আপত্তি আছে। যেমন হাতিরঝিল। আমরা চিন্তা করছি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তেজগাঁও পর্যন্ত রাখব। পরবর্তী অংশ আমরা আলাপ আলোচনা করে সমাধান করতে পারব। এটাতে চ্যালেঞ্জ আছে। তবে আমি মনে করি না এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা যাবে না। কারণ আমাদের সবার আন্তরিকতা আছে।
মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার লাগানো বিষয়ে তিনি বলেন, মেট্রোরেলের পিলারগুলো শুরুতে যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছিল আমরা ভয় পেয়ে যাচ্ছি। এইটুকু সৌন্দর্য আমাদের থাকবে না! রুচিবোধের এতই কি ঘাটতি বাংলাদেশে! যে দেশ আজকে সারা বিশ্বের বিস্ময়, সেই দেশে এত রুচির দারিদ্র্য কেন? এখানে জরিমানা করে হলেও পোস্টার লাগানো বন্ধ করতে হবে। এই মেট্রোরেল সারা জাতির সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষা করতে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিরদিন ক্ষমতায় থাকবেন না।
জো বাইডেন-মোদি বৈঠকের দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, আমরা কারো দিকে তাকিয়ে নেই। আমরা তাকিয়ে আছি বাংলাদেশের জনগণের দিকে। বিদেশি শক্তি বন্ধু হতে পারে, কিন্তু নির্বাচনে জয়ী করতে পারে না। তারা উন্নয়ন সহযোগী হতে পারে। ক্ষমতায় বসাবে এমন উদ্ভট চিন্তা করি না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এত কথা বলে। বিএনপি নেতারা কি জানেন তাদের দলের অনেকে নির্বাচনের জন্য তলে তলে প্রস্তুতি নিচ্ছে! নির্বাচনে অংশ নিতে অনেক দল প্রস্তুত আছে। বিএনপি অংশ নেবে না বলে অন্যরা বয়কট করবে- এ কথা মনে করলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটারের কম আগ্রহ এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচন বেশি দূরে নয়। সা¤প্রতিক সিটি নির্বাচনে গাজীপুরে ৫০ শতাংশ, বরিশাল ও খুলনায় ৪০-৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। তাহলে কী করে কম বলছেন? পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে ৩০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতিও হয় না। এখন এসব কথা বলে লাভ নেই। তিনি আরো বলেন, বিএনপি ২০১৩/১৪ সালের পরিকল্পনা আবার করছে। আগুনসন্ত্রাস, ভাঙচুর করার পরিকল্পনা করছে।
সেমিনারে ঢাকা শহরের পরিবেশ উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না, সিগারেট খাওয়া যাবে না। স্পট ঠিক করে দিতে হবে। ঢাকার চারপাশে ইটের ভাটা বন্ধ করতে হবে। আমাদের অস্তিত্বের স্বার্থে এগুলো করতে হবে। তিনি বলেন, আজকে যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে, পরিবেশগত উন্নয়নটাও সেভাবে হতে হবে। আমরা অবাসযোগ্য সিটি কেন হব?
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।