মশার লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং কার্যক্রম শুরু আজ

আগের সংবাদ

ভূ-রাজনীতির নতুন ক্ষেত্র ‘ব্রিকস’ : যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে নতুন মাত্রা

পরের সংবাদ

এসএসএফের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী : কারো খবরদারির কাছে নত হবে না বাংলাদেশ

প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপ সহ্য না করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারো খবরদারির কাছে বাংলাদেশ নতজানু হবে না। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম। আমরা কখনোই বাইরের কোনো হস্তক্ষেপের কাছে মাথা নত করব না। গতকাল রবিবার স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া। এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে এ বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে এসএসএফ ও এর কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে এসএসএফ মহাপরিচালকের সংকলিত জাতির পিতার ৭৫টি বাণীসংবলিত ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর উক্তি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা কারো ওপর হস্তক্ষেপ করি না। কোনো হস্তক্ষেপের কাছে মাথা নত করব না। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। আমরা একটি স্বাধীন জাতি। আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের দেশ অর্জন করেছি। আমরা জাতির পিতা প্রদত্ত ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’- এই নীতিতেই চলি। আমরা গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে কাজ করছি। দেশের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তা করছি। অনেক বাধা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বারবার প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু সফলতার সঙ্গে আমরা সেগুলো কাটিয়ে উঠেছি। এখনো অনেক বাধা আর ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। কারণ একটি দেশ যখন দ্রুত অগ্রগতি করে, তখন অনেকেই তা সহ্য করতে পারে না। তারা বিভিন্ন ঝামেলা শুরু করে। তিনি বলেন, একটি স্বাধীন ও বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বমঞ্চে মাথা উঁচু করে দেশের সব মানুষকে আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে চলতে হবে। কে বাধা দিল আর কে না দিল সেগুলো নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।
আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ নজর দেয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তি আমাদের উন্নয়নের পথ খুলে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের এ ব্যাপারে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে, যাতে এই প্রযুক্তি দেশের মানুষের ক্ষতি করতে না পারে। কারণ প্রযুক্তি অনেক আশঙ্কা তৈরি করেছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ধরনেরও পরিবর্তন হচ্ছে।
দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় এসএসএফ সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের সঠিক নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার মাধ্যমে এসএসএফ দিনে দিনে উন্নতি করতে থাকবে। শৃঙ্খলা, আনুগত্য ও পেশাদারিত্বের দিক থেকে একটি আদর্শ নিরাপত্তা বাহিনীতে পরিণত হবে।
পদ্মা সেতুর প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দূর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করল- আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। কারণ এ ব্যাপারে আমাদের কোনো দুর্বলতা ছিল না। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে

সক্ষমতা দেখিয়েছি। এ কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবার কাছে সম্মান পাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালের ১৫ জুন রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী (পিএসএফ) গঠিত হয়, যা পরবর্তীতে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পর ১৯৯১ সালে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) নামকরণ করা হয়।
রাষ্ট্রপতি যেখানেই থাকুন না কেন এবং ভিআইপি, রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান বা সরকার কর্তৃক ভিআইপি হিসেবে ঘোষিত যে কোনো ব্যক্তিসহ উভয় ভিআইপিকেই ‘শারীরিক নিরাপত্তা’ দেয়ার উদ্দেশ্যে এই বাহিনী গঠন করা হয়। সংসদীয় ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পর এটির প্রাথমিক কাজ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও অন্য ভিআইপিদের সুরক্ষা দেয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়