পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি : ‘পরিকল্পিত সিলেটে’ প্রাধান্য

পরের সংবাদ

হুমকির মুখে ফসল উৎপাদন : ঘাটাইলে তিন ফসলি জমির টপ সয়েল ভাটায় বিক্রি

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : ঘাটাইল উপজেলার ধালাপাড়া, দেউলাবাড়ী দিঘলকান্দি ইউনিয়ন এবং আনেহলা ইউনিয়নের বালিয়াটে ভেকু দিয়ে কৃষি জমির উর্বর মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন এলাকায়। এর ফলে উর্বরতা হারাচ্ছে জমি। একই সঙ্গে কমছে কৃষিজমি। হুমকির মুখে পড়েছে ফসল উৎপাদন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে তিন ফসলি জমির মাটি কাটছেন। প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এসব মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা।
সরকারি গেজেটে প্রকাশিত মাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসকরণ ২০১৩ সালের ৫৯ নং আইনের ৫ ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি ইট তৈরি করার উদ্দেশ্যে কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা বা সংগ্রহ করে ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। যদি কোনো ব্যক্তি আইনের এই ধারা লঙ্ঘন করেন তা হলে তিনি অনধিক ২ বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক নির্মিত বা ইউনিয়ন বা গ্রামীণ সড়ক ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি ভারি যানবাহন দ্বারা ইট বা ইটের কাঁচামাল পরিবহন করতে পারবেন না। যদি কোনো ব্যক্তি আইনের এই ধারা লঙ্ঘন করেন তা হলে তিনি ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এসব আইন থাকার পরও ভূমিদস্যুরা আইনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসনের চোখের সামনে এসব কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করার পরও তাদের নিরব ভূমিকায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। দেউলাবাড়ী, ধলাপাড়া, আনেহলা, ইউনিয়েনের সাঙ্গালিয়াপাড়া, দিঘলকান্দি ইউনিয়নের বেংরোয়াতে এসব মাটি বিক্রির মহোৎসব চলছে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় চলছে মাটিকাটার কাজ।
বিশজ্ঞদের মতে, মাটির ৬ থেকে ১৮ ইঞ্চি পরিমাণ থাকে টপ সয়েল। মাটি ব্যবসায়ীরা প্রায় ১৫-২০ ফুট গর্ত করে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন ইটভাটায়। এতে পাশের ফসলি জমি ভেঙে পড়ছে। এমনকি টপ সয়েল চলে গেলে সেটা তৈরি হতে সময় লাগে তিন থেকে চার বছর। আবার কোনো ব্যবসায়ী কৃষকের রোপণকৃত ফসলি ক্ষেতের ওপর দিয়ে নিচ্ছে রাস্তা। ট্রাক দিয়ে মাটি নেয়ার সময় রাস্তার ধুলায় পাশে থাকা ফসলের মধ্যে প্রলেপ পড়ে যায়। শুধু তাই নয়, ধুলায় ঢুকে যাচ্ছে বাড়িঘর। টপ সয়েল কেটে ফেলার কারণে জমি অনুর্বর হয়ে পড়ে। পাশাপাশি ভাটা থেকে নিসৃত কার্বনের কারণে ফসল ও আশপাশে থাকা গাছপালারও ক্ষতি হয়। এ ছাড়া এরা কৃষি জমি কেটে ভাটায় ব্যবহার করছেন। এতে জমির পরিমাণ ও ধান-চালের আবাদ কমে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার দিলশাদ জাহান মুঠোফোনে জানান, দোফসলী জমিতে ইটভাটা করা যাবে না। কৃষি জমির টপ সয়েল চলে গেলে মাটি উর্বরতা হারিয়ে ফেলে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিজমি।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিয়া চৌধুরী বলেন, যারা মাটি কাটার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়