পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি : ‘পরিকল্পিত সিলেটে’ প্রাধান্য

পরের সংবাদ

রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ৪ দশমিক ৫। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বেলা ১০টা ৪৬ মিনিট ১৫ সেকেন্ডে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল সিলেটের গোলাপগঞ্জ। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা বা ইউএসজিএস তথ্য অনুযায়ী, উৎপত্তিস্থলে ভূমিকম্প ছিল পাঁচ মাত্রার। বাংলাদেশের পাশাপাশি সীমান্তের অপর পাশে ভারতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপিয়ান মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যমতে, সিলেট থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে সৃষ্ট এ কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৮। যার গভীরতা ছিল ৯ কিলোমিটার।
ভূমিকম্প গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, গতকাল যেখানে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল, সেখানে ছোটখাটো ভূমিকম্পের রেকর্ড আছে। এই ভূমিকম্প বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে প্লেট বাউন্ডারির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত একটি সক্রিয় চ্যুতি অঞ্চলে সংঘটিত হয়। সক্রিয় এ চ্যুতি সিলেটের পূর্বাঞ্চল থেকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর বিস্তৃতি প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার।
তবে গতকালকের ভূমিকম্প ছোট মাত্রার বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এ অঞ্চলে ভূমিকম্প বারবার সংঘটিত হয়ে আসছে। সিলেটের সীমান্তসংলগ্ন অঞ্চলে টেকটোনিক কাঠামোর কারণেই সেখানে একাধিক চ্যুতি আছে। এর মধ্যে ডাউকি চ্যুতি খুব বড়। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় চ্যুতিগুলোর এটি একটি। এর বিস্তৃতি পূর্ব-পশ্চিমে ৩০০ কিলোমিটার। ডাউকির নাম হয়েছে মেঘালয়ের একটি শহরের নাম থেকে। এই চ্যুতি বাংলাদেশের দিকে চলে এসেছে। এটি ভূমিকম্পের একটি বড় উৎস। এ চ্যুতিতে ১৮৯৭ সালে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। এটি ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক’ নামে পরিচিত। সেটি ছিল এক ভয়াবহ ভূমিকম্প। এতে মেঘালয় এলাকা একেবারে পুরো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।
অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় অঞ্চলে ছোট ছোট ভূমিকম্প হওয়ার অর্থ এখানকার ভূ-অভ্যন্তরে শক্তি সঞ্চিত হচ্ছে। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটছে মাঝেমধ্যে। তবে ভূ-অভ্যন্তরস্থল প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে আছে। ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় এই প্লেট বাউন্ডারি ও চ্যুতি অঞ্চলের ছোটখাটো ভূমিকম্প আরো বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়