কাগজ প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির নিজের দলের ওপরই নিয়ন্ত্রণ নেই। বিভিন্ন সিটি নির্বাচনে তাদের নেতাকর্মীরা প্রার্থী হয়েছে। মির্জা ফখরুল যতই রক্তচক্ষু দেখাক না কেন, তার কথা শোনেনি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করছে। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিও আসবে। অনেক দল আসবে। দলের অভাব হবে না। বিএনপি যতই ষড়যন্ত্র করুক, নির্বাচন এদেশে হবেই।
গতকাল শুক্রবার বিকালে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। মিরপুর-১০ নম্বরে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সভা পরিচালনা করেন উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুসহ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জানে আগামী নির্বাচনে তাদের হেরে যাওয়ার ভয় আছে। এজন্য তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। টাকা-পয়সা দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এত টাকা তারা কোথায় পায়?
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, কারো ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের নির্বাচন ঠেকানো যাবে না। আমরা কারো ওপর হস্তক্ষেপ করি না। আমাদের নির্বাচনে বাইরের কোনো দেশের হস্তক্ষেপ চাই না। নিয়মকানুন মেনে নির্বাচনে যাচ্ছি। নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান শেখ হাসিনাই থাকবেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে কোনো দেশে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হয়? বাংলাদেশে কেন হবে? নির্বাচন শেষে পার্লামেন্ট ভাঙবে। আমাদের সংবিধান আছে। সংবিধানে যেভাবে আছে সেভাবে চলব। কারো পরামর্শে চলব না। পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারেন দেখতে পারেন কেমন নির্বাচন হচ্ছে।
কাদের আরো বলেন, নির্বাচনের ওপর দেশের মানুষ আস্থাশীল। সেই নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। বিএনপি এখন বেসামাল হয়ে পদযাত্রায়। এই পদযাত্রা শেষ পর্যন্ত পতন যাত্রায় রুপ নিবে। বিএনপির আর কোনো পথ নেই।
কাদের বলেন, বিএনপি আবারো ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস শুরু করেছে। এরা ক্ষমতায় থাকতে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন গিলে খেয়েছে। ভোটচুরি করেছে। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এরা আবার ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ শুদ্ধ গিলে খাবে। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে গিলে খাবে। তিনি বলেন, আর নয় হাওয়া ভবন, খালেদা জিয়ার দুঃশাসন, বিএনপির অপরাজনীতি। বিএনপি নামক অপশক্তি, দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসীদের হাতে বাংলাদেশের দায়িত্ব, নিরাপত্তা, ক্ষমতা আমরা ছেড়ে দিতে পারি না।
বিএনপি এখন ফাউল শুরু করেছে উল্লেখ করে যারা ভিসানীতি প্রয়োগ করে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কাদের বলেন, চট্টগ্রামে জাতির পিতার ছবি কারা ভাঙচুর করেছে? মহান মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিচিহ্নের ওপর হামলা চালিয়েছে? এরা কারা-এরা বিএনপি। এরা পুরনো সন্ত্রাস, পুরনো হাওয়া ভবন, পুরনো ভোটচুরি- এরা কে? বিএনপি।
শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন, দুর্দিন কেটে যাবে। লোডশেডিং এখন কমে গেছে। কয়েকদিন পর পুরোপুরি লোডশেডিং চলে যাবে।