পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি : ‘পরিকল্পিত সিলেটে’ প্রাধান্য

পরের সংবাদ

জামালদের নজর এবার সাফে

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাফের প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। কম্বোডিয়ায় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে প্রথমে স্থানীয় ক্লাব টিফফি আর্মিকে হারিয়ে শুরুটাও দারুণ করেছিল হ্যাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। এরপর প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়া জাতীয় দলকেও ১-০ গোলে হারায় তারা। জয়ের পর নমপেন ছেড়ে ভারতের বেঙ্গালুরুতে এখন জামাল ভূঁইয়ারা। সেখানে আগামী ২১ জুন থেকে শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। আর জামালদের নজর এখন সেখানেই।
নমপেন ছাড়ার আগে জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জানান তাদের আত্মবিশ্বাসের কথা। এমনকি সাফে নিজেদের লক্ষ্যের কথাও জানান তিনি। জামাল বলেন, ‘দল তিন-চার দিন আগে গেলে ভালো। খেলোয়াড়রা স্থানীয় আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। সবকিছু মিলিয়ে দলের জন্য ভালো হয়। সাফে আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রথম ম্যাচে লেবাননের সঙ্গে পয়েন্ট নিতে পারলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব। ম্যাচ বাই ম্যাচ এগিয়ে যেতে চাই। অবশ্যই লক্ষ্য শিরোপা। দলের আত্মবিশ্বাস আগের চেয়ে একটু বেড়েছে। এটা দলের জন্য ভালো। শেষ দুটো ম্যাচ জিতেছি। আমি চাই আরো ভালো খেলতে হবে। আত্মবিশ্বাস আরো বাড়াতে হবে। ১-০ গোলে ম্যাচ জিতেছি। ঠিক আছে। এখন আরো একটু ভালো খেলতে হবে। লেবানন ম্যাচ এরপর আমাদের। এটা নিয়ে কাজ করতে হবে। কীভাবে খেলতে হবে, আক্রমণ করতে হবে। এসব ট্যাকটিকাল বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে।’
সাফে বাংলাদেশের সাফল্য আসে একবারই। ২০০৩ সালে শিরোপা জিতেছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর ২০০৫ সালে শেষবারের মতো ফাইনালে ওঠে তারা। আর সর্বশেষ সেমিতে ওঠে ২০০৯ সালে। ওই সময়টায় বাংলাদেশ প্রতি আসরেই ফেভারিট থাকত। কিন্তু এখন তারা দ্বিতীয় সারির দল। ১৯৯৭, ২০০৮, ২০১১ ও ২০১৩ সাফে কোনো ম্যাচ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। গ্রুপে দুই জয় ২০১৮, ২০০৯, ২০০৫ ও ২০০৩ সালে। ছয়বার তারা গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়েছে- ১৯৯৭, ২০০৮, ২০১১, ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে। এবার অতিথি দল হিসেবে কুয়েত ও লেবানন আসায় বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন আরো ফিকে হয়ে গেছে।
সেমিতে যেতে হলে এবার জামালদের দুটি ম্যাচ জিততে হবে গ্রুপপর্বে। এবারের আসরে ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। তাদের অন্য তিন প্রতিপক্ষ- লেবানন, মালদ্বীপ ও ভুটান। ২২ জুন লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পথচলা শুরু হবে বাংলাদেশের। অন্য দুই ম্যাচ যথাক্রমে ২৫ ও ২৮ জুন। ২৫ জুন মালদ্বীপের বিপক্ষে এবং ২৮ জুন ভুটানের বিপক্ষে। প্রথম দুই ম্যাচে প্রাপ্ত পয়েন্টের ওপরই নির্ভর করবে টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের স্থায়িত্ব।
এর আগে কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা জানিয়েছিলেন দলের লক্ষ্য সেমিফাইনাল। তবে কম্বোডিয়াকে হারানোর পর একটু হলেও আশা দেখছেন তিনি। কম্বোডিয়াকে হারানোর পর কাবরেরা বলেন, ‘জয় পাওয়ায় অবশ্যই খুশি। আমরা জানতাম ম্যাচটা আমাদের জন্য কঠিন হবে, কেননা কম্বোডিয়ার বল নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা এবং টেকনিক্যাল সামর্থ্য অনেক উঁচুতে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, কিন্তু সেটা অনেক ক্ষেত্রে হয়নি। আমরা জানি, আমরা কী করতে চেয়েছি, আমাদের বৈচিত্র্যময় দল হতে হবে। যতটা বলের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিলাম, যতটা প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ হতে চেয়েছিলাম, সেটা পারিনি। আগের ম্যাচেও এটা হয়েছে। আমরা সুযোগ কাজে লাগিয়েছি। গত সেপ্টেম্বরে প্রতিআক্রমণ থেকে গোল করেছিলাম। আজকের অ্যাকশন চমৎকার। নিখুঁত ক্রস, আরেকজন উইঙ্গার অন্য প্রান্ত দিয়ে এসে ভলি করেছে। আমি মনে করি, দুই ম্যাচ একই রকম হয়েছে। তাই আমরা আশাবাদী।’
১৯৯৩ সালে সার্ক ফুটবল নামে শুরু হওয়া এ আসরটি পরে সাফ ফুটবল নাম ধারণ করে। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ অংশ নেয়নি। ১৯৯৫ সালে কলম্বোতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে সেমিতে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নেয় তারা। সাফ ফুটবলে বাংলাদেশ প্রথম ফাইনালে খেলে ১৯৯৯ সালে। আর প্রথম ও একমাত্র ট্রফি জয়ের কৃতিত্ব ২০০৩ সালে। সাফের এবারের আসরে গোল ও অ্যাসিস্ট করতে চান কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয়ের নায়ক মজিবুর রহমান জনি। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল করেছি, আমি অনেক খুশি। কোচের পরিকল্পনা ছিল আমাকে নিয়ে, সেটা পূরণ করতে পেরেছি। খুবই খুশি। অবশ্যই সাফে ভালো কিছু করব। এটা আমার প্রথম আন্তর্জাতিক গোল, আমি চাই সাফে গোল করব, অ্যাসিস্ট করব।
সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন, সাফে গিয়ে আমি যেন গোল করতে পারি, আমরা যেন ভালো করতে পারি। আমি মনে করি, সাফের আগে এমন একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি, যেটা আমার এবং দলের জন্য অনেক ভালো। আমরা সাফে গিয়ে ভালো ফল করব ইনশাল্লাহ।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়