পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : সবাই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেখাবে- এই প্রত্যাশা বাংলাদেশের

আগের সংবাদ

মেয়র প্রার্থীদের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুরি : ‘পরিকল্পিত সিলেটে’ প্রাধান্য

পরের সংবাদ

কবি কামাল চৌধুরী : সেলিনা হোসেন তার সমকালে অনন্য

প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৭, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের অন্যতম কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। গত ১৪ জুন ছিল এই সাহিত্যমনীষীর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে আয়োজন করেছে সেলিনা হোসেনের সৃষ্টিকর্ম শীর্ষক সেমিনার ও উন্মুক্ত আলোচনা। যেখানে ‘আমার লেখার ভূবন’ কথামালায় সেলিনা হোসেন তার যাপিত জীবনের গল্প বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি কামাল চৌধুরী দুুুই বাংলায় সমাদৃত এই কথাসাহিত্যিককে তার সমকালে বাংলাভাষাভাষি লেখকদের মধ্যে অনন্য একজন বলে উল্লেখ করেন।
লেখকরা সমাজবিচ্ছিন্ন মানুষ নয়, তাদের প্রতি সমাজের দাবি আছে এমন মন্তব্য করে কামাল চৌধুরী বলেন, সেলিনা হোসেনের লেখা পড়লে মনে হয় তার লেখা বিষয়-বৈচিত্র্যে অনন্য। তার লেখায় উঠে এসেছে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সুখ-দুঃখ, ক্ষোভ, অভিযোগ ও মানবিকতা। তিনি তার সমকালে বাংলাভাষাভাষি লেখকদের মধ্যে অনন্য একজন, যার লেখার শেকড় গভীর থেকে গভীরে। কথাসাহিত্যে সেই শেকড় প্রোথিত করা সহজ। ছড়ানো-ছিটানো বর্ণনা, অসংখ্য চরিত্র মিলে এই ক্যানভাস হয়ে ওঠে অনেক বড়, যা কবিতায় সহজ নয়। এটা আমাদের কাছে গৌরবের। তার সৃষ্টিশীলতা আরো বহু বছর বেঁচে থাকুক।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কবি আজিজুর রহমান আজিজ, কবি গীতিকার নাছিমা বেগম প্রমুখ।
অনুভূতি প্রকাশ করেন সেলিনা হোসেনের ওপর নির্মিত ‘যাপিত জীবন’ চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী আশনা হাবীব ভাবনা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাসরীন জেবীন হক।
কবি নূরুল হুদা বলেন, সেলিনা হোসেন সৃষ্টিশীলতায় অনন্তকাল জড়িয়ে থাকুন। সে সৃষ্টিশীলতায় তাকে একধরনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। তিনি সমসাময়িক কথাসাহিত্য চর্চা করছেন যা অনেক তাৎপর্যময়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ধারণ করে আছেন বলেও মন্তব্য করেন নূরুল হুদা।
প্রথম বই প্রকাশের অনুভূতি ব্যক্ত করে সেলিনা হোসেন বলেন, আমার প্রথম বই ‘উৎস থেকে নিরন্তর’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে। বইটি প্রকাশের ক্ষেত্রে আমার শিক্ষক অধ্যাপক আব্দুল হাফিজ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন এই বলে, তুমি যখন এমএ পাস করেছ, একটা চাকরি করতে হবে। আর একটা চাকরির জন্য নানান জায়গায় ইন্টারভিউ দিতে হবে। তোমার সিভিতে যদি একটি বই থাকে, তাহলে অন্যদের চাইতে তুমি একটু আলাদা মাত্রা পাবে। তুমি একটি বই প্রকাশ করো। বলা যেতে পারে সাহিত্যের জায়গা থেকে নয়, একটি চাকরি পাওয়ার জায়গা থেকে আমার প্রথম বই বের হয়।
তিনি বলেন, আমার বয়স এখন পঁচাত্তর বছর। আমি যদি আর কিছুদিন সুস্থ থাকি, তাহলে আরো

কিছু লেখা লিখব অবশ্যই। চাওয়া-পাওয়া তো প্রতিটি মানুষের মধ্যে কাজ করে। লেখকের এটা তো থাকবেই। সুস্থ থাকাটাই আমার কাছে এখন বড় কিছু। সুস্থ থাকলে অনেক না লেখাগুলো লিখে যেতে পারব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়