সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ভুক্তভোগীরা

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ও প্রত্যাশায় ফারাক অনেক : ক্লিন সিটি খ্যাত রাজশাহীর মানুষ অনেক সেবা পান না

পরের সংবাদ

স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : সংসদে সরকারদলীয় সদস্যরা

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা। তারা বলেছেন, অন্য দেশের প্রেসক্রিপশনে আর বাংলাদেশ চলবে না, তারা এ দেশের গভর্নর নয়, ভাইসরয় নয়। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব কথা বলেন। এ সময় প্রথমে স্পিকার ড. শিরীন শারিমন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু সভাপতিত্ব করেন।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, একটা বিভক্ত শক্তি তথাকথিত সমাজতন্ত্রের নামে মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে বিভক্ত করে ’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করে এবং সর্বশেষ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এর পরে বিএনপি-জামায়ত শক্তি বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতায় আসে। ‘হ্যাঁ-না’ ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে স্বৈরতান্ত্রিককতার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যায় জিয়া-মুশতাকরা। দেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করা হয়।
রেলমন্ত্রী বলেন, সারা জীবন বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, সাম্য- একটি সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি মনে করতেন, ভিখারি জাতির কোনো সম্মান নেই, তাই আত্মনির্ভরশীল মর্যাদাকর একটি জাতির স্বপ্ন তিনি হৃদয়ে ধারণ করে সেই মতো এগিয়ে চলেন। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি। ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিএনপি, জামায়াত, আলবদর, আলসামস- এরা পাকিস্তানকে সহায়তা করে, তারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি। আর এদের বিরোধিতার কারণেই মুক্তিযুদ্ধ বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তারা নারী নির্যাতন, মা-বোনদের ধর্ষণসহ হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে রক্তের হোলিখেলায় মাতে। এর জন্য ১ কোটি বাংলাদেশি ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিলম্বিত হয়। এখনো এরা দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এদের থেকে আমাদের সতর্ক থাকা দরকার।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, যারা গণতন্ত্রের কথা বলে অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আনতে চায় দেশবাসী তাদের উচিত জবাব দেবে। এতিমের টাকা মেরে খাওয়া খালেদা জিয়া আর কখনো মানুষের রায় পাবে না। যারা গণতন্ত্রকে হরণ করেছিল, পেছনের দরজা দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারাই আজ গণতন্ত্রের ছবক দেয়। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তথাকথিত কিছু সুশীল বাবুরা। এরা কারা? দেশবাসী তাদের ভালো করেই চেনেন। যারা গণতন্ত্রের কথা বলে অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আনতে চায়, দেশবাসী তাদের উচিত জবাব দেবে।
এমপি হাবিবে মিল্লাত বাজেটে তামাকপণ্য, সিগারেট-বিড়িসহ সব ধরনের পণ্যের দাম আরো বাড়ানো এবং ই-সিগারেট নিষিদ্ধের দাবি জানান। প্রস্তাবিত বাজেটে টিনধারী হলেই ২ হাজার টাকা কর দেয়ার বিষয়টি বাদ দেয়ারও দাবি জানান তিনি।
এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেন, রোহিঙ্গা নিয়ে বিশ্বমহলে নানা ধরনের অপপ্রচার রয়েছে। কেউ কেউ মনে করে রোহিঙ্গারা এদেশে মানবেতরভাবে বসবাস করছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পুনর্বাসনের জন্য বিশ্ব দরবারে জান্তা সরকারের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। যদিও প্রধানমন্ত্রী তা সামলে নিয়েছেন। তবে কেন আমরা ডলারের অভাবে কয়লা আনতে পারলাম না- এটা দুঃখজনক। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের রিজার্ভ রাখা উচিৎ ছিল।
এমপি পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, ২০০১-এর পরে বিএনপি-জামায়াত যে নির্যাতন অত্যাচার করেছে এর ফলে প্রায় ১ কোটি মানুষ দেশ ছেড়ে চলে গেছে। বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু শেখ হাসিনার কোমরে জোর আছে, তা আর হতে দেবে না।
আবু সাঈদ আল মাহম্মুদ স্বপন বলেন, দেশের একটা সুশীল সমাজ গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে, তবে তা শেখ হাসিনাবিহীন গণতন্ত্রে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে উঠে-পড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, অন্য দেশের রাষ্ট্রদূত আর এদেশের গর্ভনর নয়, ভাইসরয় নয়, তাদের প্রেসক্রিপশনে আর এদেশ চলবে না।
গতকাল প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আরো আলোচনা করেন এমপি গাজী মো. শাহনেওয়াজ, আবদুল মজিদ খান, মোসলেম উদ্দিন, ইকবালুর রহীম, শামসুন নাহার, অসীম কুমার উকিল, মো. আখতারুজ্জামান, জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়