সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে ভুক্তভোগীরা

আগের সংবাদ

উন্নয়ন ও প্রত্যাশায় ফারাক অনেক : ক্লিন সিটি খ্যাত রাজশাহীর মানুষ অনেক সেবা পান না

পরের সংবাদ

স্ত্রীকে হত্যায় দুধে ঘুমের ওষুধ, খায় মেয়েও : পুলিশকে ঘাতক সেলিম

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় হত্যার শিকার মা মাহমুদা হক ওরফে বৃষ্টি (৩৩) ও তার মেয়ে সানজা মারোয়ার (১০) মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে তাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মনিকা খন্দোকার।
ঢামেক মর্গ সূত্র জানায়, দুটি মৃতদেহ থেকে কেমিক্যাল এনালাইসিসের জন্য ভিসেরা ও ব্লাড নেয়া হয়েছে। এর আগে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন বাড্ডা থানার এসআই ফাতেমা সিদ্দিকি সোমা। মর্গে মৃত বৃষ্টির মামা সোহেল শিকদার এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার দাবি করে বলেন, মৃতদেহ দুটি বাড্ডার বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে বাড্ডা পাঁচ তলা এলাকায় একটি কবরস্থানে দাফন করা হবে। পরে দুপুরে জানাজা শেষে মরদেহ দুটি দাফন করা হয়।
পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরো কোনো রহস্য আছে কিনা তা জানার জন্য সেলিমকে গতকাল তিন দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম জানিয়েছেন, তার টার্গেট ছিল স্ত্রীকে হত্যা। এজন্য তিনি পরিকল্পনা মতো গত মঙ্গলবার ১ লিটার প্রাণ দুধ ও স্থানীয় একটি ফার্মেসি থেকে ৩ পাতা ঘুমের ট্যাবলেট কেনেন। তিন পাতায় ৩০টি ট্যাবলেট ছিল। ওইদিনই রাত ১০টার দিকে বাসায় দুধের সঙ্গে ৩০টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তার স্ত্রীকে দুধ খেতে দেন। এ সময় তার স্ত্রীর সঙ্গে মেয়ে সানজাও দুধ খায়। এক পর্যায়ে তারা অচেতন হয়ে পড়েন। তিনি তার স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু রাত ২টার দিকে তার স্ত্রীর মামা সোহেল বাসায় এসে খোঁজ নেন। পরে তাদের বনশ্রীর ফরাজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাদের ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সেলিম প্রায়ই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যেতেন। কোথায় কার সঙ্গে থাকতেন এসব ব্যাপারে পরিবারের প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতেন না। একাধিকবার স্ত্রীকে মারধর, এমনকি হত্যার চেষ্টাও করেন সেলিম। গত দুই বছরে অন্তত তিনবার পারিবারিক বৈঠক হয় সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলা নিয়ে। বৃষ্টির বাধায় পারিবারিক সে চেষ্টা ভেস্তে যায়। বৃষ্টি বলেছিলেন ‘আর কটা মাস দেখি, যদি বদলায় সে।’ তবে সেলিম বদলাননি। বরং পৃথিবী থেকে বৃষ্টিকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করতে থাকেন তিনি।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম মা-মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, তিনদিন বাইরে থেকে সোমবার রাতে বাসায় ফেরেন। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ চরমে ওঠে। পারিবারিক কলহ আর নিজের পরকিয়া সম্পর্কের জেরে স্ত্রীকে সারা জীবনের জন্য সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। কিন্তু মেয়েকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল না তার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়